সল্টলেক

ব্যুরো নিউজ ১৩ নভেম্বর :সল্টলেকে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আয়ুস পাইকের। মঙ্গলবার স্কুল ছুটি শেষে দুই ভাইকে নিয়ে স্কুটি চালিয়ে কেষ্টপুরের দিকে ফিরছিলেন তাদের মা। সেই সময় বেপরোয়া গতিতে রেষারেষি করছিল ২১৫এ রুটের দুটি বাস। হঠাৎ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটিকে ধাক্কা মারে। আর সেই মুহূর্তে ছিটকে পড়ে মা এবং দুই ছেলে। ঘটনাস্থলেই আয়ুসের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তার মা এবং ছোট ভাই।

বড়সড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

লিশি নজরদারির অভাবে প্রশ্ন তুললেন এলাকাবাসী

এই দুর্ঘটনায় সল্টলেক এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তায় নেমে অবরোধ করেন।   পুলিশি নজরদারির অভাব নিয়ে সরব হন। এলাকাবাসীর অভিযোগ দুর্ঘটনাস্থলে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা মূলত মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন সঠিকভাবে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে নজর দেন না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটার পরও কোনও পুলিশ সদস্য প্রাথমিকভাবে আহতদের সাহায্যে আসেননি।  পরিস্থিতি সামলানোর বদলে পুলিশ বাসের পিছনে দৌড়ায় যা আরও ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ভার্সনে ‘গ্রিন স্ক্রিন’ সমস্যা, ক্ষুব্ধ ইউজাররা

এলাকাবাসী বলছেন সল্টলেকের এই রুটে প্রায়ই বাসগুলির রেষারেষির ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয় না। কয়েক সপ্তাহ আগেই বেহালায় একটি লরির চাপায় প্রথম শ্রেণির এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুও ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার পরই পুলিশের নজরদারির অভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সল্টলেকের ঘটনা এই পরিস্থিতিকে আরও একবার প্রকাশ্যে তুলে ধরল।

৭৭ বছরের পুরনো রাজকীয় কেকের এক টুকরো, দাম আড়াই লক্ষ টাকা!

এখন আয়ুসের মৃত্যুর পরে এলাকাবাসী দাবি তুলেছেন যাতে এই রাস্তায় নিয়মিত পুলিশি নজরদারি ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা হয়। দুর্ঘটনার পরে পুলিশি তৎপরতায় যদিও ঘটনাস্থলে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী এই দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর