ব্যুরো নিউজ,১৬ এপ্রিল: নতুন বছরের শুরুতেই জীবনের এক অনন্য মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়। ২৬ জানুয়ারি মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন রূপসা। সেই বিশেষ দিন থেকেই নিজের জীবনের নতুন অধ্যায় বারবারই তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর নববর্ষের দিনই প্রথমবার নিজের ছোট্ট ছেলেকে সকলের সামনে আনলেন তিনি। ছেলের নাম রেখেছেন ‘অগ্নিদেব’—গাম্ভীর্যপূর্ণ এক নাম, যা মিলেছে তার স্বভাবের সঙ্গেও।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
অগ্নিদেবের প্রথম নববর্ষ, মায়ের বিশেষ অনুভব
নববর্ষের দিন ছোট্ট অগ্নিদেবকে দেখা গেল সাদার উপর সুতোর কাজ করা ধুতি-পাঞ্জাবিতে। ছোট্ট মাথার চুল স্পাইক করে সাজানো হয়েছিল তাকে। রূপসা জানিয়েছেন, এ বছর নিজের পোশাকের থেকে অনেক বেশি সময় ও মনোযোগ দিয়েছেন ছেলের পোশাক নিয়ে। কারণ এই প্রথম তিনি মা হিসেবে নববর্ষ পালন করছেন। রূপসার কথায়, “এবার আমার নিজের কিছু কেনাকাটা হয়নি বললেই চলে। সবাই শুধু অগ্নিদেবের জন্যই জামা কিনে এনেছেন। আত্মীয়স্বজন থেকে বন্ধুবান্ধব—সবাই ওর জন্য কিছু না কিছু এনেছেন। নববর্ষে ওর যতো জামা হয়েছে, আমার তো দুর্গাপুজোতেও তত হয়নি।” রূপসা আরও জানান, “আমার বাবা ওকে তিনটে জামা দিয়েছেন। সায়নদীপের বাবাও দুটো জামা কিনে দিয়েছেন। এমনকি আমার এক বান্ধবীও দুটো জামা নিয়ে এসেছে অগ্নিদেবের জন্য। সব মিলিয়ে অন্তত আট-দশটা জামা হয়ে গেছে ওর নববর্ষেই।”
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
অগ্নিদেবের নামকরণের পেছনে রয়েছে একটি মিষ্টি এবং অর্থবহ ব্যাখ্যা। রূপসা জানান, ‘অগ্নি’ নামটি তাঁর বহুদিনের প্রিয়। তবে পুরো নাম ‘অগ্নিদেব’ বেছে নিয়েছেন তাঁর স্বামী সায়নদীপ। কারণ ছেলেটির স্বভাব বেশ রাশভারী ও গম্ভীর—অনেকটা তার বাবার মতো। এই গাম্ভীর্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নামই তাঁদের উপযুক্ত মনে হয়েছে।
রূপসা বলেন, “ও দেখতে আমার মতো হলেও স্বভাব-আচরণ একেবারে সায়নদীপের মতো। খুবই শান্ত, গম্ভীর। তাই আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, ওর নাম অগ্নিদেবই হবে। এখন বুঝতে পারছি, নামের সঙ্গে ওর স্বভাব সত্যিই খুব মানিয়ে গেছে।” নতুন বছর, নতুন পরিচয়, আর নতুন এক জীবনের শুরুতে এই বিশেষ মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আপ্লুত রূপসা। অভিনেত্রীর এই ঘরোয়া আনন্দে মিশে আছে ভালোবাসা, আবেগ আর মাতৃত্বের এক অপার অনুভব।