ব্যুরো নিউজ ৮ নভেম্বর : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বর্তমানে প্রযুক্তি জগতে এক অনন্য পরিবর্তন আনতে চলেছে। মাইক্রোসফটের এআই সিইও মুস্তাফা সুলেমান, যিনি প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন, সেই পরিবর্তনের কথা তুলে ধরলেন। চ্যাটজিপিটি বা কপিলটের মতো এআই টুলগুলির আবির্ভাব ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। কিন্তু মুস্তাফার মতে, এ তো কেবলই সূচনা।
শীতের সন্ধ্যায় বাড়ির ছোটদের জন্য বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু রেসিপি ডিম ও আলুর কাটলেট
মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা
ভবিষ্যতে এআই শুধুমাত্র কাজের সহায়ক হবে না, বরং মানুষের মতো কথা বলবে, মানুষের আচরণ ও অভ্যাসগুলিও রপ্ত করে ফেলবে।মুস্তাফার ভাষায়, “ভাবুন তো, আপনার ব্যক্তিগত এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট, যেটি আপনার স্টাইল ও কাজের পদ্ধতি এতটাই ভালোভাবে বুঝবে যে, আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজের মতো করে সাজিয়ে তুলে ধরবে।” তিনি মনে করেন, এআই শুধু কাজকে সহজ করবে না, বরং আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও নিখুঁত, আরও ‘স্মার্ট’ করে তুলবে।এ সফরে সুলেমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফটের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সভাপতি পুনীত ছন্দক। তারা জানিয়েছেন, ভারতের কোটি কোটি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এআই নির্ভর কিছু নতুন পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ‘কিশানএআই’, যা কৃষকদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই টুলটি রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের সহায়তা করবে এবং সরকারের কৃষি উন্নয়ন উদ্যোগেও সহযোগী হবে।
তুলসি গাছ কোথায় রাখলে বাড়িতে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি? জানুন বাস্তু টিপস
সম্প্রতি, এইচসিএল-এর প্রাক্তন সিইও বিনীত নায়ার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, এআই প্রযুক্তি ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এতটাই পরিবর্তন আনবে যে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে মাইক্রোসফটের এই দুই নেতা সেই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে দেখালেন অন্য এক সম্ভাবনার দরজা। তারা বলেন, এআই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নয়; বরং মানুষ ও যন্ত্র একসঙ্গে কাজ করলে সভ্যতা আরও সমৃদ্ধ হবে।