ব্যুরো নিউজ,৪ সেপ্টেম্বর :কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ কি বললেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলী?
সাসপেন্ড সন্দীপ
সরকারের মুখে ঝামা!সন্দীপ-তদন্তে মমতার তৈরি সিট পুরোপুরি খারিজ হাইকোর্টে,দায়িত্ব সিবিআইকে
এই ঘটনায় স্বস্তি ফিরেছে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। তাদের দাবি, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার এবং সাসপেন্ড করা হল তাদের আন্দোলনের দাবিতেই।তাদের একজন অনিকেত মাহাতো বলেন, “আমাদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের ফলেই সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল’।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস অ্যাক্ট মোতাবেক যেকোনো সরকারি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়।এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই ঘটনাকে সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ হিসেবে দেখছে। তাদের দাবি, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এতদিন ধরে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকার কেন কোনো ব্যবস্থা নিল না?
সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতার নগর পাল বিনীত গোয়েল নবান্নে যান কলকাতায়। সূত্র মারফত জানা যায়, বিনীত কোয়েল মুখ্য সচিব মনোজপন্থের সঙ্গে দেখা করেন সেদিন।সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, আরজিকরের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন মুখ্য সচিব কে জানাতে গিয়েছিলেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। তবে তার বদলি নিয়েও দিনভর নবান্নের টানা পোড়েন জল্পনা চললেও সেদিন রাত পর্যন্ত তা কষ্ট হয়নি।