ব্যুরো নিউজ,২৯ আগস্ট: আরজিকর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছিল বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। প্রথমদিকে ছোটখাটো প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হলেও ধীরে ধীরে তার মাত্রা বাড়তে থাকে। শ্যামবাজারে ৫ দিনের ধর্ণা কর্মসূচি নিয়েছিল পদ্ম শিবির। এবার তার থেকেও আরো বড় কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
ভারতে টেলিগ্রামের ভবিষ্যৎ, একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতি
নয়া কর্মসূচির প্রস্তুতি বিজেপির:
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে ডাকা হয়েছিল মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। সেখানে বারে বারে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ- জনতার মধ্যে খন্ডযুদ্ধ দেখা গিয়েছে। তারপরেই বুধবার বাংলা বনধের ডাক দেয় বঙ্গ গেরুয়া শিবির। বাংলা বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পাশাপাশি পুলিশ বিজেপির রাজ্য স্তরের একাধিক নেতৃত্বকে আটক করে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট থেকেই বিজেপির তরফে বৃহৎ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের ফাঁড়া কাটাতে বদ্ধপরিকর মহিলা ক্রিকেট বাহিনী
আদালতের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে রাজ্য মহিলা কমিশনের দপ্তরে তালা ঝোলানোর ডাক দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে দলের সমস্ত মহিলা বিধায়ক এবং প্রাক্তন মহিলা সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের যে কোনো মহিলা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং এ শুরু হচ্ছে বিজেপির ধর্ণা কর্মসূচি। গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাত থেকেই ধর্মতলার ওই জায়গায় মঞ্চ বাধার কাজ শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু সেই সময় পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তবে আজ সকাল থেকে ফের ডোরিনা ক্রসিংয়েই মঞ্চ বাধার কাজ চলছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিজেপির এই ধর্ণা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চত্বরজুড়ে বহু মাইক লাগানো হয়েছে। এই প্রস্তুতিকে লক্ষ্য করেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যে আরজিকর কান্ড নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে এক ইঞ্চিও পিছু হঠতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির।