ব্যুরো নিউজ,২৭ নভেম্বর:বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ভারতের দুই বিশিষ্ট ধর্মগুরু। ভারতের জনপ্রিয় ধর্মগুরু সাধগুরু ও শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে সাধগুরু বাংলাদেশকে তোপ দেগে বলেন, ‘ধর্মতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ভেঙে পড়ছে’ এবং তিনি একে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেন। একই সময়ে, শ্রী শ্রী রবি শঙ্করও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পাশে দাঁড়িয়ে তার মুক্তির দাবি করেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’
ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের টানাপোড়েন?
সমালোচনা তুঙ্গে
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির ঘটনার পর সাধগুরু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখেন, ‘কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ ধর্মতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী হয়ে ভেঙে পড়ছে? এটি খুবই লজ্জার বিষয়। এক একটি গণতান্ত্রিক জাতির দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের উচিত যে, তাদের মৌলিক অধিকার, চাহিদা ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবনযাপন করার ক্ষমতা থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের প্রতিবেশী দেশটি গণতান্ত্রিক নীতির থেকে সরে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব এটি পুনর্গঠন করা’।এদিকে শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর তার এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি যে অত্যাচার করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। একজন ধর্মীয় নেতার দায়িত্ব হলো, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, আর যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন তাদের সঙ্গে অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কাউকে আঘাত করেননি, তিনি শুধু ভয় পেয়ে থাকা মানুষদের সাহস দিচ্ছেন।’ শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানান যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়া হোক।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের উদ্যোগ, তবুও কমছে না বাজারে দাম
অপরদিকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও এই ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক যে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তবে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানো এক ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এভাবেই, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি অব্যাহত অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ধর্মগুরুরা একযোগে তাদের উদ্বেগ ও সমর্থন জানিয়েছেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তার মুক্তির দাবি নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছে।