ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি :দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ বিরল রোগে আক্রান্ত। এই তালিকায় কলকাতাও অন্যতম। অটোইমিউন ডিজঅর্ডার, জেনেটিক সমস্যা বা স্নায়ুর রোগ—এগুলোর অনেকটাই বিরল রোগের অন্তর্ভুক্ত। তবে আগে এসব রোগ চিহ্নিত করা কঠিন ছিল, এখন আধুনিক চিকিৎসার ফলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।কলকাতা পুরসভা ‘কল্যাণ নিরূপনম যোজনা’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে, যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বা ক্যাম্পের মাধ্যমে বিরল রোগে আক্রান্তদের সন্ধান করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ আশা কর্মীদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।
১৪.৮ কেজি সোনা সহ গ্রেফতার কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও, তদন্তে ডিআরআই
রোগ বাড়ছে নাকি শনাক্তকরণ উন্নত হচ্ছে?
চিকিৎসকদের মতে, বিরল রোগের সংখ্যা বাড়েনি, বরং রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি আধুনিক হয়েছে। আগে অনেক রোগ ধরা পড়ত না বা ভুল চিকিৎসা হত। এখন উন্নত রক্তপরীক্ষা, জেনেটিক টেস্টিং ও গবেষণার ফলে এই রোগগুলি দ্রুত শনাক্ত হচ্ছে।বর্ধমানের উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “রোগ আগে ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয়। আগে সচেতনতার অভাব ছিল, এখন বিষয়টি নিয়ে মানুষ বেশি সচেতন হচ্ছেন।”চিকিৎসকরা মনে করেন, “আরও বেশি জেনেটিক টেস্টিং দরকার। যদি ছোটবেলায় রোগ ধরা পড়ে, তাহলে আক্রান্ত শিশুর ভবিষ্যৎ অনেক সহজ হয়ে যায়।”
সরকারি উদ্যোগ ও পরিকাঠামো উন্নয়ন
সরকার বিরল রোগের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত করতে কাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে উন্নত পরীক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। চিকিৎসক বলেন, “জেনেটিক কাউন্সেলিং ও উন্নত রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থা হলে বিরল অটোইমিউন ডিজঅর্ডার ও স্নায়ুর রোগ সহজেই শনাক্ত করা যাবে।”
ভারত খেলেনি, তবে বিসিসিআই কর্তা যাচ্ছেন পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখতে
ওষুধের সহজলভ্যতা ও নীতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন
বিরল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের বেশিরভাগই বিদেশি সংস্থার তৈরি। এ দেশে এসব ওষুধ আনার জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিয়ম সহজ করা, আমদানি শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। তাতে চিকিৎসা সহজ হবে এবং অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।সচেতনতা, উন্নত চিকিৎসা ও সরকারি সহায়তা—এই তিনটি দিক একসঙ্গে কাজ করলে বিরল রোগের চিকিৎসায় দেশ আরও এগিয়ে যাবে।