আবাস যোজনার টাকা নিয়ে বিভ্রান্তি

ব্যুরো নিউজ,১৪ নভেম্বর:পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কাছে একটি চিঠি পৌঁছানোর পর নতুন করে শোরগোল উঠেছে। ২০১৬-১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন দেবাশিসবাবু। কিন্তু, সেবার তার নাম আবাস যোজনার তালিকায় ওঠেনি। তাই তিনি আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি, পুরসভার পক্ষ থেকে একটি চিঠি পান তিনি, যাতে তাকে আবাস যোজনার অসম্পূর্ণ বাড়ি শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

নাবালকের হাতে ট্যাবের টাকা লেনদেনঃ রাজ্য সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে বাড়ছে উদ্বেগ

টাকা লোপাট করেছে, অন্যপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিচ্ছে


চিঠি পেয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেবাশিসবাবু জানতে পারেন, ২০১৭ সালে তার নাম আবাস যোজনার তালিকায় ছিল এবং সরকারি খাতায় তার নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছিল। তবে, সেই বাড়ির জন্য প্রাপ্য টাকা চলে গেছে অন্য কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। তার অভিযোগ, কয়েকটি দফায় ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।এ ঘটনার পর দেবাশিসবাবু লিখিত অভিযোগ নিয়ে পুরসভায় যান এবং পুরপ্রধান তরণী বাউড়ির কাছে তদন্তের দাবি জানান। দেবাশিসবাবু জানতে চান, কে তার নাম ব্যবহার করে টাকা তুলে নিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর, পুরপ্রধান তরণী বাউড়ি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ প্রথমবার শুনলাম। আমরা তদন্ত করে প্রতারকদের খুঁজে বের করব।’ তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পুরসভাই এসব টাকা লোপাট করেছে।

সঞ্জয় রায়ের অস্বাভাবিক আচরণঃ আদালতে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে নতুন চর্চা

এই ঘটনার সঙ্গে, ২০১৭-১৮ সালের এক অন্য ঘটনা সম্পর্কেও খবর বেরিয়েছে। রঘুনাথপুর পুরসভায় একজন উপভোক্তার আবাস যোজনার টাকা অন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি নতুন করে সরকারের জন্য আরও অস্বস্তি তৈরি করেছে। স্থানীয়দের ধারণা, এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটছে, কিন্তু তদন্তের অভাবেই প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না।এদিকে, পুরসভার তরফ থেকে এই ধরনের অভিযোগের তদন্তে গতি আনার কথা বলা হলেও, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যেখানে একপক্ষ অভিযোগ করছে পুরসভা টাকা লোপাট করেছে, অন্যপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর