ব্যুরো নিউজ,২০ আগস্ট: আরজিকর কাণ্ডে মৃতা চিকিৎসকের বাবা এবং মা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। যা এই মুহূর্তে আরজিকর ইসুতে যথেষ্ট তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি করে নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহের শেষকৃত্য করার জন্য পুলিশ যথেষ্ট তাড়াহুড়ো শুরু করে দেয়।
বিভ্রান্তিকর অবস্থা তৃণমূলে!’মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট’করবেন কারা?যা জানা গেল
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগে মান্যতা শ্মশানের ম্যানেজারের
নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের দেহ তাড়াতাড়ি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করার জন্য পুলিশের এই তাড়াহুড়ো নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবাও। এবার শ্মশানের ম্যানেজার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি নির্যাতিতার বাবার কথাতেই সহমত পোষণ করেছেন। আর তাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘শ্মশানের ম্যানেজার বলেন, আরজি করের নির্যাতিতার দেহের শেষকৃত্য বাকি মৃতদেহের আগেই করে ফেলতে বলে পুলিশ। তখনও নির্যাতিতার পরিবার সেখানে এসে পৌঁছায়নি। তার আগেই শ্মশানে পুলিশ এসেছিল। তারা বলতে থাকে, জলদি করো, জলদি করো..’ এবার পুলিশ কেন এই তাড়াহুড়ো করছিল ওই নির্যাতিতার শেষকৃত্যের জন্য, তাই নিয়ে এই পরিস্থিতিতে বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Weight Loss Tips: ওজন কমান ওটস এর বিভিন্ন পদ দিয়ে
এই প্রসঙ্গে মৃতার বাবাও বলেছিলেন, ‘শ্মশানে আমার মেয়ের আগে আরও তিনটি মৃতদেহ ছিল। পুলিশ প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ের দেহ আগেভাগে দাহ করিয়ে দেয়।’ নির্যাতিতার মা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মোটেও সহযোগিতা করেনি পুলিশ। শুধু এই মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের চেষ্টা ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্ত শেষ করে মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া।’ প্রসঙ্গত, আরজিকর ঘটনায় প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু হয়েছিল। পরে খুনের মামলা দায়ের করা হয়। আর তারপরে গিয়ে তাতে যুক্ত হয়েছিল ধর্ষণের ধারা। তাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। এবার দাবি উঠতে শুরু করেছে, এই ঘটনা কারো একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। এখন সিবিআই তদন্ত করছে আরজিকর ঘটনার। দেশবাসী দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন।