ব্যুরো নিউজ,১ ফেব্রুয়ারি:এবার আমেরিকায় ঘটে গেল আরও একটি বিমান দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া শহরে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ছোট আকারের ছিল এবং এতে ছ’জনের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করার কিছু সময় পরেই বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং বিস্ফোরিত হয়। দুর্ঘটনার ফলে আশপাশের একাধিক বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরে যায়। বর্তমানে উদ্ধারকাজ চলছে।
ধর্মতলায় অগ্নিকাণ্ড: আতঙ্কিত পথচারী, যান চলাচলে ব্যাঘাত
শুক্রবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) ফিলাডেলফিয়ার রোজভেল্ট মলের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আমেরিকার ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লিয়ারজেট ৫৫ বিমানটির মধ্যে দু’জন ছিলেন, এবং তারা উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে উড়াল দিয়েছিলেন। গন্তব্য ছিল মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল বিমানবন্দর। তবে, আমেরিকার পরিবহণ সচিব সিন ডাফি জানিয়েছেন, বিমানে মোট ছ’জন ছিলেন।
এফএএ এবং আমেরিকার জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) যৌথভাবে এই দুর্ঘটনার তদন্ত করবে। জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দরটি মূলত বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড বিমান পরিচালনা করে। বিমানটি উড়াল দেওয়ার পর পাঁচ কিলোমিটার যাওয়ার মধ্যে ভেঙে পড়ে। ফিলাডেলফিয়ার জরুরি বিভাগ এই দুর্ঘটনাকে ‘গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছে।দুর্ঘটনার পর বিস্ফোরণের কারণে শহরের একাধিক বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার সময় শহরে বৃষ্টি পড়ছিল, যার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল এবং বিমানে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শীতের বিদায়, গরমের আগমনঃ কলকাতায় তাপমাত্রার চরম ওঠানামা
এটি ওয়াশিংটনে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার মাত্র দু’দিন পরের ঘটনা। বুধবার, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউস থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি যাত্রীবাহী বিমান সেনা চপারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পটোম্যার নদীতে ভেঙে পড়ে, এবং সেই ঘটনায় ৬৭ জনের মৃত্যু হয়। ফিলাডেলফিয়ার এই দুর্ঘটনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফিলাডেলফিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আরও কত নিষ্পাপ প্রাণ চলে গেল। আমাদের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।’’