ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:সম্প্রতি পাকিস্তানে দুই ইউটিউবার সানা আমজ়াদ এবং শোয়েব চৌধরির ফাঁসি হওয়ার জল্পনা উঠেছে। এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং নিয়ে এসেছে নানা বিতর্ক। সানা এবং শোয়েব, যাঁরা পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারতকে নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করতেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা পাকিস্তানের বদলে ভারতের প্রশংসা করেছেন। সানা একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করেছিলেন, যা পাকিস্তানের একাংশের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। এরপর থেকেই তাঁদের চ্যানেল নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং উধাও হয়ে যান এই দুই ইউটিউবার।
“মোদী সাড্ডা শের হ্যায়”
তাদের ভিডিওগুলো পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং আর্থিক সংকট নিয়ে এসেছিল, যেখানে মাঝেমধ্যে ভারত এবং মোদী সরকারের প্রশংসা উঠে আসত। বিশেষ করে সানা একবার মোদীর প্রশংসায় একটি ভিডিও তৈরি করেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল “মোদী সাড্ডা শের হ্যায়” (মোদী এক জন সিংহ)। সেই ভিডিওটি পরে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, এবং এর পরে সানা এবং শোয়েবের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। অনেক পাক নেটিজেন তাদের অভিযুক্ত করেছিলেন যে তারা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ পাকিস্তানকে ছোট করছেন এবং ভারতের প্রশংসা করে শুধু জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চাইছেন।এর পর থেকেই সানা এবং শোয়েবের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয় যে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এমনকি কিছু পোস্টে দাবি করা হয়, পাকিস্তান সরকার এই দুই ইউটিউবারকে ‘দেশদ্রোহ’ এর জন্য শাস্তি দিয়েছে এবং বাকিরাও সতর্ক হবেন এই ঘটনার মাধ্যমে। কিন্তু এই খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যখন পাকিস্তানের সাংবাদিক আরজু কাজ়মি বিষয়টি ‘ভুয়া’ বলে ঘোষণা করেন। তিনি দাবি করেন, সানা এবং শোয়েবকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি, বরং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং সঠিক সময়ের আগে সমাজমাধ্যমে এই ধরনের খবর ছড়ানো উচিত নয়।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানঃ ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে কাজ, জানালেন সাংসদ দেব
পাকিস্তানী ইউটিউব সম্প্রদায়ের মধ্যে সানা এবং শোয়েবের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার মাধ্যমে পাকিস্তানে বাক্স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে, এবং অনেকে মনে করছেন যে, ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে এমন ধরনের পদক্ষেপ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার একটি চেষ্টা।এছাড়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের একাংশের মতে, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশের মধ্যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, যাতে জনগণ কোনভাবেই সরকারের সমালোচনা করতে না পারে। তবে, পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য নেটিজেনদের আবেদন, যেন দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো হয়, কারণ তদন্ত এখনো চলছে।