ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করলেও, স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আইসিসি-র দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, পিসিবি আশ্বাস দিচ্ছে যে জানুয়ারির শেষ নাগাদ সকল স্টেডিয়াম প্রস্তুত হয়ে যাবে। ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে, পাকিস্তানে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে স্টেডিয়ামগুলো প্রস্তুত করতে আরো কিছু সময় প্রয়োজন।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানঃ ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে কাজ, জানালেন সাংসদ দেব
৩০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে কাজ?
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং করাচি স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাজও চলছে জোর কদমে। পিসিবি দাবি করছে যে জানুয়ারির শেষের মধ্যে এসব স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে। পিসিবির মুখপাত্র সামি উল হাসান জানিয়েছেন, “গদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে এবং আশা করা হচ্ছে এই মাসের শেষের মধ্যে স্টেডিয়ামের দায়িত্ব আমাদের হাতে চলে আসবে।”গদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কারের পর সেখানে ৩৫,০০০ দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন। এছাড়া, নতুনভাবে হসপিটালিটি বক্সও নির্মিত হয়েছে। পিসিবি আরও জানিয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের জন্য গদ্দাফি স্টেডিয়াম সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকবে এবং কোনও ধরনের সমস্যা হবে না। করাচি স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজও প্রায় শেষ। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এই স্টেডিয়ামও প্রস্তুত হয়ে যাবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে লাহোর এবং করাচি স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পাকিস্তান ছাড়া অংশ নেবে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে, ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলি ভারত না গিয়ে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে, কারণ ভারত পাকিস্তানে খেলার জন্য এখনও প্রস্তুত নয়।পাকিস্তানে ২৮ বছর পর কোনো বিশ্ব ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং তা অনেকেই অপেক্ষা করছে। পিসিবির এই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান আশা করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন উদ্যমে ফিরে আসবে তারা।