ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:আমেরিকা, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে।তিনি অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারত থেকেও অনেক অভিবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। ‘ব্লুমবার্গ’ এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারত এবং আমেরিকার সরকার যৌথভাবে ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে, এবং এই অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন। যদিও এই সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি, তবে এই চিহ্নিত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ এখনও পর্যন্ত শুধু ১৮ হাজার জন চিহ্নিত হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বিকার আর জি কর কাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত সঞ্জয় রায়, নেই কোন তাপ উত্তাপ
অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের চিহ্নিত
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমীক্ষক সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ জানিয়েছে, আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ভারতীয়েরা তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। প্রথম স্থানে মেক্সিকো এবং দ্বিতীয় স্থানে এল সালভাদর। সংস্থাটি দাবি করছে, প্রায় ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ভারতীয় বিনা নথিতে আমেরিকায় বসবাস করছেন। এটি ভারত ও আমেরিকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পরেই বেশ কিছু নির্দেশনা স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল অবৈধ অভিবাসন নিয়ে নির্দেশ। তিনি আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে তৎপর করেছেন। ‘ব্লুমবার্গ’ এর রিপোর্ট অনুসারে, ভারত সরকার আমেরিকার প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে।
পতৌদি পরিবারের ১৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কি সরকারের হাতে চলে যাবে? হাইকোর্টের রায়ের পর নতুন জটিলতা
ভারত সরকার এ পদক্ষেপটি নিয়েছে, যাতে আমেরিকার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা যায়।ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত কতজন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট সংখ্যা জানায়নি। তবে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসন রোধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সহযোগিতার ফলে, যে ভারতীয় অভিবাসীদের সম্প্রতি দেশে ফেরানো হয়েছে, তাদের চার্টার্ড বিমানে পাঠানো হয়েছে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে, আমেরিকায় বৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় অভিবাসীদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।