ব্যুরো নিউজ,১৫ নভেম্বর:পাকিস্তানের একটি পণ্যবাহী জাহাজ সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে।গত বুধবারের এই ঘটনা দুটি দেশের মধ্যে সরাসরি জলপথে যোগাযোগের সূচনা ঘটিয়েছে,যেটি এক নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কমিশন প্রথার জেরে কলকাতার বাসে রেষারেষির ফলে দুর্ঘটনা, বিতর্কের মধ্যেই নতুন আলোচনার সূচনা
নতুন দিগন্ত
এই ঘটনা বিশেষত বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ইতিহাস অনেকটা জটিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা বদলাচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করে আসছেন। তার শাসনামলে পাকিস্তানের পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করল।এটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এই নতুন জলপথকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, এই রুটের মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং ছোট ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর ফলে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থায় নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হবে।তার ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল আর পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের অপেক্ষা বাড়ল
বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অশান্তি এবং রাজনৈতিক সংকটের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছিলেন এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে এই নতুন সরকারের অধীনে পাকিস্তানের জাহাজের আগমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।এটি কি ৭১-এর যুদ্ধের ক্ষত মুছে নতুন এক যৌথ ভবিষ্যতের পথে দুই দেশের পদক্ষেপ? সময়ই তা প্রমাণ করবে।