ব্যুরো নিউজ,১ সেপ্টেম্বর: আরজিকর কাণ্ডে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সারা রাজ্যে যখন উত্তাল তখন আবারো এক মহিলা নার্সের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল বীরভূমে। একজন কর্তব্যরত নার্সকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল একটি রোগীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এক যুবক অসুস্থ অবস্থায বীরভূমের ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত একটি নার্স অসুস্থ যুবককে ট্রেচারে শুইয়ে হাতে স্যালাইন দেওয়ার জন্য চ্যানেল করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ ওই সময় যুবকটি নার্সের দেহ স্পর্শ করেন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূমের ইলামবাজারের ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
অরিজিৎ সিং এর এক্স হ্যান্ডেল প্রোফাইল হঠাৎ বন্ধ হল কেন? প্রশ্ন ভক্তদের
দাবি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে 24 ঘন্টা পুলিশী নিরাপত্তা
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সাথে সাথে খবর দেয় । অভিযুক্ত ওই যুবকটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তার দাবিতে রবিবার সকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্থানীয় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে 24 ঘন্টা পুলিশী নিরাপত্তা দিতে হবে। অভিযোগকারিণী ওই নার্স সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন “রাতে একজন রোগী এসেছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমি তাকে স্যালাইন দিতে গিয়েছিলাম । ওর হাতে চ্যানেল করার সময় রোগী আমার গায়ে হাত দেন । গালিগালাজ ও করছিলেন । আমি এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।একজন রোগী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে কিভাবে এই সাহস পান? ওর বাড়ির লোকজন সামনে ছিলেন সকলে দেখেছেন কি ঘটেছে”।
Rg Kar News: হাসপাতালে থানা থাকা সত্তেও ২৫ মিনিট দেরি কেন পুলিশকে খবর দিতে?
এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান “রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার সময় একজন সহকারীকে সামনে থাকতে হয় । আমি তাই নার্সের সঙ্গে ছিলাম ।আমার চোখের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। দিদি স্যালাইনের জন্য রোগীর হাতে চ্যানেল করতে গিয়েছিলেন।রোগী তখন তার শ্লীলতাহানি করে আমরা সকলে দেখেছি”। আরজিকর কাণ্ডে অত বড় ঘটনা ঘটে যাবার পরও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেই একই জিনিস ঘটে চলেছে। এ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আরি জানিয়েছেন “যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক ।এটা কাম্য নয় ।এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর কারো সঙ্গে না ঘটে । পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখানে নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়টি আইসি নিজে দেখছেন । স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাতের সুরক্ষা আরো জোরদার হবে বলেই আশা রাখছি।