ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:এই বছরের অগস্ট মাসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। সিকিমের তাদং থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রস্থল হওয়া সেই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার এবং তীব্রতা ছিল ৪.৫ রিখটার স্কেলে। বুধবার উত্তরবঙ্গের দুটি বিধানসভা কেন্দ্র—সিতাই এবং মাদারিহাটে উপনির্বাচন। আর তার আগে, সিকিমের তাদং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আরও একটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর তীব্রতা ছিল ৩.৫ রিখটার স্কেলে।এই ভূমিকম্পের প্রভাব দার্জিলিং, কার্শিয়াং, সোনাদা এবং মংপো পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এর তীব্রতা কম ছিল, তবে ভূমিকম্পের কারণেই সেসব এলাকায় কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে সফরে রয়েছেন, তখন এই ভূমিকম্প হয় তার কারণে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
৩১টি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচনঃ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষা
অনেককে চিন্তিত করে তুলছে
সিকিমের তাদং, যেটি ভূমিকম্পের উৎসস্থল, সেখানেই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাত্র ৫ কিলোমিটার, ফলে কিছু এলাকায় কম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে। তবে, ওই এলাকায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের তীব্রতা কম থাকলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ে এমন ধরনের ভূমিকম্পের প্রভাব স্থানীয় জীবনযাত্রা ও পর্যটকদের উপর পড়ে।প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ভূমিকম্প হয়। বিশেষত সিকিম, যেটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, সেখান থেকে প্রায়ই কম্পনের খবর আসে। অগস্ট মাসেও সিকিমের তাদং থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, তবে এবারের ভূমিকম্প তার তুলনায় অনেক কম তীব্র ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আজঃ কার জয় হবে?কি বলছে সমীক্ষা?
এই ভূমিকম্পের প্রভাব শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় পড়েছিল। সিকিমের ভূমিকম্পের ফলে পুরো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশে কম্পন অনুভূত হয়, যা স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যদিও ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবুও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে থাকা মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।এখন শীতের মরশুম চলছে, ফলে পর্যটকদের ভিড় আরও বেড়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই আসছেন। তবে ভূমিকম্পের ঘটনা অনেককে চিন্তিত করে তুলছে।