ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:শ্যামপুর-১ ব্লকের ডিঙাখোলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ পরিষেবায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা চলছিল।এখানকার বাসিন্দারা ও পর্যটকরা প্রায়ই বিদ্যুৎ কম থাকায় টিমটিম করা আলো ও ধীরগতিতে চলা পাখার সমস্যায় ভুগছিলেন।গরমের সময় এই সমস্যা আরও বাড়ত, তখন অনেক সময় জেনারেটর ব্যবহার করতে হতো।এখানকার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র গাদিয়াড়া ও গড়চুমুকেও পর্যটকরা এই সমস্যায় ক্ষুব্ধ হতেন। গ্রামের বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ জানিয়েও এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাসই পেয়েছিলেন।
স্বাভাবিক বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরে আসবে
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শ্যামপুর-১ ব্লকের ডিঙাখোলা গ্রামে নতুন একটি সাবস্টেশন গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।সম্প্রতি বিদ্যুৎ দফতরের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম দত্ত ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এই জায়গা পরিদর্শন করেছেন।হাওড়া জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সাবস্টেশন গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশেষভাবে, এই সাবস্টেশন গড়ে উঠলে শ্যামপুর-১ ব্লকের গাদিয়াড়া, গড়চুমুক, বাণেশ্বরপুর এবং ডিঙাখোলা সহ মোট পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ লো-ভোল্টেজের সমস্যার থেকে মুক্তি পাবে।এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে লো-ভোল্টেজের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। গাদিয়াড়া হোটেলের মালিক স্নেহাংশু কয়াল জানান, ‘গরমে এখানে খুব কষ্ট হয়, বিশেষ করে পাখা চালাতে অসুবিধা হয়। জেনারেটরের জন্য টাকা খরচ করতে হয়।’
কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান ও উদ্বেগের কথা জানালেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী
তবে শীতের সময় সমস্যা কিছুটা কমে গেলেও, বিদ্যুৎ সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মকর্তাদের মতে, ১৫ দিনের মধ্যে নতুন সাবস্টেশনটি সম্পূর্ণ কাজ করতে শুরু করবে।এই সাবস্টেশন তৈরির উদ্যোগে স্থানীয় বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল বারবার রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণ্ময় মান্না জানিয়েছেন, এক বিঘে জমি সাবস্টেশন তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দ্রুত কাজ চলছে।এই নতুন সাবস্টেশন চালু হলে, শ্যামপুরের বাসিন্দারা টিমটিম করা আলো বা ধীরগতিতে চলা পাখার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। এখন তারা অপেক্ষা করছেন, কখন তাদের এলাকায় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরে আসবে।