ব্যুরো নিউজ,২২ ফেব্রুয়ারি :করোনাভাইরাস নিয়ে একের পর এক নতুন খবর সামনে আসছে। এবার চিনের বিজ্ঞানীরা এক নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন, যা বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। এই নতুন ভাইরাসের নাম HKU5-Cov-2। এই ভাইরাসটি SARS-CoV-2, যা কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টি করে, তার মতো একই ধরনের মানব রিসেপ্টর ব্যবহার করে শরীরে প্রবেশ করে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসটি বাদুড় থেকে ছড়িয়ে মানুষে প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে আবার নতুন করে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
কাকাবাবুর নতুন অভিযানে এবার ‘বিজয়নগরের হিরে’ ছবির যাত্রা শুরু
‘ব্যাট উইমেন’
এই ভাইরাসটির সন্ধান পেয়েছেন চিনের বিখ্যাত বিজ্ঞানী শি জেংলি, যিনি ‘ব্যাট উইমেন’ নামে পরিচিত। বাদুড় সংক্রান্ত করোনাভাইরাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর গবেষণা চলছে এবং সেই গবেষণার ফলস্বরূপ এই নতুন ভাইরাসের ব্যাপারে জানা গেছে। এর আগে, কোভিড-১৯ এর মতো ভাইরাসের সূত্রে বিভিন্ন প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। এই নতুন ভাইরাসও সেই পথ অনুসরণ করতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।এদিকে, চিনে হঠাৎ করে HMPV (হিউম্যান মেটা নিউমোভাইরাস) কেস বেড়ে যাওয়ার ফলে করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন উদ্বেগ শুরু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, HMPV কোভিডের মতো ভয়াবহ নয়, তবে এটি মরসুমী রোগের মতো আচরণ করতে পারে।
চিনের সোশ্যাল মিডিয়াতে আবারও মাস্ক পরা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, আর হাসপাতালগুলিতে ভিড়ও বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো HKU5-Cov-2 ভাইরাসটির উপস্থিতি এবং এর সংক্রমণের পথ। এই ভাইরাসটি প্রথম হংকংয়ে একটি জাপানি বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায়। গবেষকদের অনুমান, এই ভাইরাস বাদুড় থেকে একটি মধ্যবর্তী প্রাণী হয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ভাইরাসটি মানব কোষে প্রবেশ করে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, যা নতুন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাজ চক্রবর্তীর ৫০ তম জন্মদিনে স্ত্রী শুভশ্রীর আদুরে চুম্বন
এর আগে, সিআইএ দাবি করেছিল যে, করোনা ভাইরাস উহানের একটি ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছে, তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে চিন। ২০১৯ সালে প্রথম করোনাভাইরাসের কেস চিনের উহানে পাওয়া গিয়েছিল, এরপর তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।বর্তমানে চিনের বিজ্ঞানীরা এই নতুন ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এর প্রকৃতি ও বিস্তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তবে এই ভাইরাসের প্রকৃত উৎস এবং এর মানুষের মধ্যে সংক্রমণ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।