মধ্যরাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল

ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি :নেপালে মধ্যরাতে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা দেশটির বিভিন্ন অংশে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৫১ মিনিটে (নেপালের স্থানীয় সময়) হিমালয়ের কোলে অবস্থিত নেপালের মধ্য এবং পূর্বাঞ্চল কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.১, যদিও বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা রিপোর্ট করেছে। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিয়োসায়েন্স জানিয়েছে কম্পনের মাত্রা ৫.৬, তবে ভারতের জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) এবং আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে ৫.৫ ছিল।

ত্বকের জৌলুষ ফেরাতে রোজ লাগাচ্ছেন ভিটামিন সি সিরাম? অজান্তে ত্বকের ক্ষতি করছেন না তো? জানুন বিস্তারিত

১০ কিলোমিটার গভীরে

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ড, যা মাটির অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। এটি বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে নেপাল-তিব্বত সীমান্তের কাছে, এবং শিলিগুড়ি ও পটনাতেও কিছুটা কম্পন অনুভূত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানা গেছে, ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় প্রশাসন জানায়, এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নেপাল পুলিশের ডিআইজি দীনেশ কুমার আচার্য জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎসস্থল এবং এর আশেপাশে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সিন্ধুপালচক জেলার এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, জোরালো কম্পনে স্থানীয়দের ঘুম ভেঙে যায় এবং তারা ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন।

দেড়শ বছরের পুরনো ফ্যাশান এখন নতুন ট্রেন্ড জানুন সেই ফ্যাশনের ইতিহাস

নেপাল ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ, যা বিশ্বের সিসমিক জোন ৪ এবং ৫-এর মধ্যে পড়ে। এই অঞ্চলগুলোতে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। ২০১৫ সালে ৭.৮ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে ৯০০০-এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল এবং বহু বাড়ি ও স্থাপনা ভেঙে পড়েছিল। এরপরেও একাধিক ছোট কিংবা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প নেপালে হয়ে এসেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর