ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দেশব্যাপী প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষিকাজ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র একটি বিশেষ জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করেছে।এই প্রকল্পের জন্য ২,৪৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি কৃষককে প্রাকৃতিক চাষের পদ্ধতি শেখানো হবে।
আইপিএল ২০২৫ঃ চেন্নাই সুপার কিংসের শক্তি এবং দুর্বলতা কি কি?
কৃষকদের জন্য এক বড় সুযোগ
প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করলে কৃষকদের চাষের খরচ কমবে এবং তারা রাসায়নিক মুক্ত সস্তা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য পাবেন। যার ফলে শুধু কৃষকরা নয়, সাধারণ ক্রেতারাও উপকৃত হবেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন, ‘মাটির গুণমান উন্নত করা এবং রাসায়নিক মুক্ত খাবারের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপায়ে চাষের এই জাতীয় মিশন এটি একটি দারুণ পদক্ষেপে’।এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা সহজ পদ্ধতিতে চাষ করবেন এবং তাদের চাষের জন্য একটি বিশেষ ব্র্যান্ডিং দেওয়া হবে যাতে প্রাকৃতিক কৃষিপণ্য বাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারে। এই উদ্যোগের আওতায় একটি অনলাইন পোর্টালও চালু করা হবে, যার মাধ্যমে প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি এবং অগ্রগতি সম্পর্কে রিয়েল টাইম তথ্য পাওয়া যাবে।
খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় খালাসঃ বিএনপির জন্য কি নতুন আশার সঞ্চার?
কৃষকদের কাছ থেকে ঐতিহ্যগত প্রাকৃতিক চাষের জ্ঞান নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যা পশুসম্পদ সমন্বিত চাষ পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। এই মিশনটি আগামী দুই বছরে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে ১৫,০০০ ক্লাস্টারে চালু হবে এবং ৭.৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রাকৃতিক চাষ শুরু হবে। বর্তমানে ভারতে প্রায় ১০ লাখ হেক্টর জমিতে প্রাকৃতিক চাষ হয়। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এই সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।এছাড়া, কৃষকদের সুবিধার্থে ১০,০০০টি বায়ো-ইনপুট রিসোর্স সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে তারা সহজে প্রাকৃতিক কৃষি উপকরণ সংগ্রহ করতে পারবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং এটি কৃষকদের জন্য এক বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে।