ব্যুরো নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারি: এক সময় এভারেস্টের চূড়ায় ছিল বাংলা ছবি। আর তা আজ ‘খাটিয়া’। বাংলায় এসে বাংলার ছবি নিয়েই এমন মন্তব্য কোরতে শোনা যায় বলিউডের ছবি পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে। তার বক্তব্য ছিল, বাংলা ছবি চলবে কীভাবে? বাংলা ছবি একেবারে ‘খাটিয়া’।
বিজ্ঞানী দিবসের মূল লক্ষ্যই জনকল্যান
রবিবার শহরের ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউটে ‘নিপীড়িতের জগঝম্প’ নামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন ছবি পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। সেখানেই তিনি স্পষ্ট জানান, বাংলা চলচ্ছিত্র একটা সময় এভারেস্টের উচ্চতায় ছিল। কিন্তু এখন তা একেবারেই তলানিতে। তবে মান পড়েছে হিন্দি সিনেমারও।
গত রবিবার ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি জানিয়েছেন, এখন হিন্দি সিনেমা তিনি আর দেখেন না। কারণ, এখন যেসব সিনেমা তৈরি হয়, তা তাঁর একদমই ভালো লাগে না। তিনি হিন্দুন্তানি খাবারের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, হিন্দুন্তানি খাবার সর্বত্র প্রশংসা পায়। এর কারন, তার খাদ্যগুন ভালো। কিন্তু হিন্দি ছবিতে এমন কি আছে? ফলে তার কথায় এটা স্পষ্ট যে, বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে ছবির খাদ্যগুন বা পুষ্টিগুন কোনওটাই নেই।
কিন্তু পশ্ছিমি প্রভাবে বাংলায় বদলেছে পোশাক। বদলায়নি সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার। অনুরাগ হয়তো ঠিকই বলেছেন, নিম্নমানের বিষয়বস্তু নিয়ে প্রায়শই অ্যাংগ্রি ইমেজকে হাতিয়ার করে নায়ককে দিয়ে দর্শক টানার ছক কষছে পরিচালকরা। কিন্তু তাতে সত্যিই গুনমান বেড়েছে কি? এর উত্তরটা হ্যাঁ হলে হয়তো আজ আর এই প্রতিবেদনটির কোনও প্রয়োজন হতো না। তবে শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। তাই সত্যি কথাই সম্মুখে বলেছেন চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। অবশ্য বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের বক্তব্যও ভিন্ন নয়। সর্বোপরি ছবির মান কমায় শোকাহত নাসিরুদ্দিন শাহ, পরিচালক-অভিনেতা অরিন্দম শীল, অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, অভিনেতা কৌশিক সেন-সহ অনেকেই।