ব্যুরো নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারি: ফের একবার গ্রেফতার করা হলো এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে।এই প্রথমবার এসএসসি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কাউকে গ্রেফতার করলো। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রসন্নকে গ্রেফতার করেছিলো সিবিআই। বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিল প্রসন্ন।
DRDO- তে সুযোগ হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানের
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে প্রসন্নর ফ্ল্যাট সহ মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে তাঁরা প্রচুর নথি উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, নামে বেনামে প্রায় ৮০ টির উপর সংস্থা রয়েছে প্রসন্নের। শুধু তাই নয়। তার নিজের নামে ও তার স্ত্রীর নামে থাকা বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। সেই নথির ভিত্তিতেই তাকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হলে তিনি আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি যেতে পারবেন না। এরপর ফের তাকে সোমবার ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিলো। সেই মতো সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে যান প্রসন্ন। তাকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যে অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে সেই রাতেই গ্রেফতার করে ইডি।
\
ইডি সূত্রে দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রসন্নকে। এর আগে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখান থেকেই উঠে আসে প্রসন্নর নাম। প্রসন্নের ফ্ল্যাটের সুত্রেই এসএসসি মামলায় তাঁরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলো। আর এইবার ওই মামলায় হলো ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতারি। উল্লেখ্য, প্রসন্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। একজন ‘মিডলম্যান’ এর কাজ করছিলেন তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত দুটি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম উঠে আসে সিবিআই এর হাতে। এরপর সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন। তবে তাকে গ্রেফতার করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোন বিচার শুরু হয়নি। চার্জশিট দেওয়ার পরেও নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ না করায় বেশ কিছু শর্ত দিয়ে সেই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রসন্ন রায়। এরপর বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে সিবিআইয়ের মামলায় তাকে জামিন দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। ইভিএম নিউজ