ব্যুরো নিউজ,১৮ এপ্রিল: বিবাহ মানেই আনন্দ, আর সেই আনন্দে যদি প্রতিপক্ষের তরফ থেকেও আসে শুভেচ্ছা—তাহলে তা নিঃসন্দেহে সৌজন্যের এক বড় দৃষ্টান্ত। এমনই একটি ঘটনা ঘটল দিলীপ ঘোষের জীবনে। বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন নতুন জীবনের পথে পা রাখছেন, তখন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠালেন শুভেচ্ছা বার্তা ও ফুলের তোড়া। শুক্রবার নিউ টাউনের বাড়িতে রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দিলীপ। বিয়ের প্রাক্কালে তাঁর কাছে পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো হলুদ খামের মধ্যে শুভেচ্ছাপত্র ও একটি ফুলের তোড়া। এই ঘটনার পরে রাজনীতির বাইরের সৌজন্যের বার্তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
ঘরোয়া বিয়েতে রাজনৈতিক সৌজন্যের ছোঁয়া
যদিও দিলীপ ঘোষের বিয়ের কথা ঘনিষ্ঠদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপির একাধিক নেতা উপস্থিত হন শুভেচ্ছা জানাতে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক নেতা গিয়েছিলেন সকালেই দিলীপের বাড়িতে। সঙ্গে ছিল ফুল, মিষ্টি, ধুতি-পাঞ্জাবির মতো উপহারও। প্রত্যেককেই পাল্টা উপহার দেন দিলীপ—কাউকে শাড়ি, কাউকে ধুতি বা পাঞ্জাবির কাপড়।
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
রিঙ্কু মজুমদার, যিনি বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী, তিনিই দিলীপের জীবনসঙ্গিনী হয়েছেন। দলের সূত্রেই তাঁদের আলাপ ও বন্ধুত্ব, যা পরিণতি পেল বিবাহে। বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল ঘরোয়া, মাত্র গুটি কয়েক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে শুভেচ্ছা আসা নিঃসন্দেহে রাজনীতির বাইরের মানবিকতার পরিচয়।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে রিঙ্কু জানান, তাঁরা হানিমুনে যাবেন কোনও নির্জন পাহাড়ি জায়গায়। কারণ, দিলীপ ঘোষ যেখানে যান, সেখানেই ভিড় জমে যায়। তাই শান্ত পরিবেশ চান দু’জনে। উল্লেখযোগ্যভাবে, শনিবারই দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। বিয়ের পরদিনও তিনি প্রাতঃভ্রমণে বেরোবেন, দমদম ও খড়্গপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন। নববধূ থাকবেন বাড়িতেই, রীতি মেনে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। অনেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্বের কারণে দেরিতে বিয়ে করেন। দিলীপদাকে শুভেচ্ছা।”