ব্যুরো নিউজ,৩ ডিসেম্বর:তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ‘মমতা বনাম অভিষেক’ দ্বন্দ্ব এখন নতুন মোড় নিয়েছে।বিরোধীরা মজা করে বলতেন, তৃণমূলের মধ্যে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন দলের অন্দরে প্রথম ও শেষ কথা তিনিই বলবেন।দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, দলের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নিতে তিনি একাই যাবেন, এবং তার সঙ্গে থাকবেন দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা সুব্রত বক্সী।
পিভি সিন্ধুর নতুন ইনিংসঃ ২২ ডিসেম্বর বিয়ে করছেন অলিম্পিক পদকজয়ী ব্যাডমিন্টন তারকা
অভিষেক চুপ

গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের অন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব বাড়ছে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিছু বিষয় নিয়ে অভিষেক প্রশ্ন তুলছিলেন, বিশেষত প্রবীণদের ভূমিকা নিয়ে। দলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন নিয়ে তার বেশ কিছু ইঙ্গিতও ছিল। এমনকি নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বও বাড়ছিল। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দলের অন্দরে নেতৃত্ব গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সম্প্রতি বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকে মমতা জানিয়ে দেন দলের সবকিছু তিনি এবং সুব্রত বক্সী দেখবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ছাত্র ও যুব সংগঠনও তার হাতে থাকবে এবং তিনি নিজেই তা পরিচালনা করবেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি দেখার সুযোগ পেয়েছি’ বললেন আবেগে আপ্লুত বিক্রান্ত ম্যাসি
মমতার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা সুব্রত বক্সী, যিনি দলের প্রতিটি স্তরে সক্রিয়, এবার আরও বড় ভূমিকা পেতে চলেছেন। মমতা তার রাজনৈতিক সঙ্গীকে আবারও সম্মান দিলেন, আর দলের অন্দরে প্রবীণদের গুরুত্বও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করলেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান যে মন্ত্রী হলেই মাতব্বর হওয়া যায় না ।মমতা জানিয়েছেন দলের ছোটো-খাটো সংগঠনগুলির উপরও নজর রাখবেন তিনি।সম্প্রতি তৃণমূলের কর্মসমিতি বৈঠকে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি এখন দলের পরিচালনায় কঠোর হাতে নেতৃত্ব দেবেন। এরই অংশ হিসেবে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যাতে দলের প্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতা-কর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কলকাতার কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেক নেতা।