ব্যুরো নিউজ,১২ নভেম্বর:রাজ্য সরকারের তরফে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব কেনার জন্য যে বরাদ্দ টাকা পাঠানো হয়েছিল, তা নিয়ে একাধিক জেলার স্কুলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন স্কুল থেকে অভিযোগ আসছে যে, এই টাকার বরাদ্দ যেই পড়ুয়াদের জন্য করা হয়েছে, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা না গিয়ে চলে যাচ্ছে অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।সম্প্রতি, এই তদন্তের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর স্কুল পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা স্কুলের অফিস ঘরের আলমারির নীচে একাধিক মদের বোতল উদ্ধার করেন, যা দেখে তারা হতবাক হয়ে যান। এই চাঞ্চল্যকর আবিষ্কারটি স্কুলের বিরুদ্ধে আরও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। তদন্তকারীরা এই বিষয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং এখন তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আসানসোলে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিস্ফোরক মন্তব্য, শাসক শিবিরে অস্বস্তি
কিভাবে গেল টাকা?
চাঁচোলের মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘স্কুলে মদের বোতল কীভাবে এল, সেটি খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তবে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী এই ঘটনায় মুখ খুলতে চাননি।এদিকে, রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, যাতে তারা ট্যাব কিনতে পারেন। এই টাকার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের তালিকা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়েছিল, এবং তার ভিত্তিতেই সরকার টাকা পাঠায়। তবে, অনেক জেলাতেই অভিযোগ উঠেছে যে, এই বরাদ্দ টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে।
শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সঞ্জয় রায়ের, ফেসবুকে কটাক্ষ অরিত্র দত্ত বণিকের
এছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক স্কুলে এমন অভিযোগ ওঠে যে, পড়ুয়াদের টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। সেখানে ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা চুরি করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে জেলা শিক্ষা দপ্তরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষককে থানায় গিয়ে এফআইআর বা জিডি করতে বলা হয়েছে।এই ঘটনায় সাইবার জালিয়াতির সম্ভাবনা এবং দুর্নীতির ঘটনা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসন ও পুলিশ এখন বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করা যায়।