ব্যুরো নিউজ, ৪ মার্চ: ক্যাশ ফর কোশ্চেন মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। ব্যবসায়ী হিরানন্দানি থেকে দামিদামি উপহার ও টাকার বদলে তাদের বাতলে দেওয়া প্রশ্নই লোকসভায় তুলতেন মহুয়া। এই অভিযোগে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এরপরেই গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে এথিক্স কমিটি স্পিকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করে। এরপরেই ভোটাভুটির মাধ্যমে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে।
লোকসভার সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্পিকারের আর্জি, সকলে যেন তাঁদের প্রশ্ন নিজেরাই তৈরি করেন। যেনও অন্য কাউকে প্রশ্ন তৈরি করতে দেওয়া না হয়। আর এই নিয়ম না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন স্পিকার।
আদিত্য এল-১ উৎক্ষেপণের দিনই ক্যান্সার আক্রান্ত ইসরো কর্তা সোমনাথ
এই ঘটনায় নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই-এর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল মহুয়া মৈত্র। সেখানে তিনি জানান, সামাজিক মাধ্যমে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই এমন কিছু পোস্ট করেছেন যা একজন মহিলা হিসাবে তার জন্য যথেষ্ট মানহানিকর ও দলের অপরেও কু- প্রভাব ফেলছে। তাই সেই সকল পোস্ট না করার আর্জি জানায় মহুয়া মৈত্র। আজ সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। কিন্তু এদিন বিচারপতি মহুয়া মৈত্রর সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে মহুয়া মৈত্রর এই মামলার শুনানি হয়। মহুয়া আবেদন ছিল, এতদিন তার সম্পর্কিত যা কিছু পোস্ট করা হয়েছে, তা যেন সরিয়ে নেন তাড়া। এমনকি সব ছবি, ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও কারণেই তিনি টাকা নেননি বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া। ইভিএম নিউজ
হাইকোর্ট