ব্যুরো নিউজ ২৩ মে : দক্ষিণবঙ্গের ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে যারা সিকিমের ঠান্ডা পাহাড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন, তাদের আনন্দ আপাতত আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। নতুন করে ধস নামায় পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাচুং ও লাচেনের রাস্তা। মঙ্গলবার থেকে আর কোনো নতুন পারমিট ইস্যু করা হচ্ছে না, এমনকি পুরোনো পারমিট নিয়েও পর্যটকরা এখন এই দুই জনপ্রিয় স্পটে যেতে পারবেন না। আর এই আকস্মিক ধসের জেরে রাস্তায় আটকে পড়েছে প্রায় শতাধিক পর্যটকবাহী গাড়ি।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি
জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টি এবং লাগাতার ধসের কারণেই সিকিম প্রশাসন লাচেন ও লাচুং-এর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবারও পুরোনো পারমিট বাতিল থাকবে। আবহাওয়া অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের অপেক্ষাকৃত উঁচু পাহাড়ি এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাই আপাতত বরফের দেশের স্বপ্ন কিছুটা অধরা।
ভারতের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ ও রাশিচক্রের সম্পর্ক
কোথায় আটকে পড়লেন পর্যটকরা?
প্রবল বৃষ্টির পর জলস্রোতের কারণে সাংকালান ও ফিডংয়ের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণেই সাংকালান সেতুর কাছে পর্যটকদের শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ে। মাংগন প্রশাসন সেই গাড়িগুলিকে স্থানীয় একটি বিডিও অফিসের পার্কিংয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছে। ফলে আটকে পড়া পর্যটকদের অনেকেই এখন কিছুটা অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
পুনরাবৃত্তি এপ্রিলেও: হিমালয়ের খামখেয়ালিপনা
উল্লেখ্য, এটি সিকিমে পর্যটকদের জন্য নতুন কোনো ভোগান্তি নয়। গত এপ্রিল মাসেও ধসের কারণে লাচুং-লাচেনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় প্রায় ১৮০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন, যার মধ্যে বাংলার বহু পর্যটক ছিলেন। চুংথাংয়ে আটকে পড়া হাজার পর্যটককে দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছিল। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমের একাধিক এলাকা সে সময় পরিদর্শন করেছিলেন মাংগন জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে জিরো পাস এবং লাচুং রোড হয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পর্যটকদের নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। খেদুম্পায় জিআরএফ এবং সেনার সহযোগিতায় রাস্তা থেকে বড় বড় পাথরের চাঁই সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছিল।
এই প্রথম সিআইএসএফ এর এভারেস্ট জয় ; ইতিহাস গড়লেন মহিলা অফিসার
এপ্রিলের শেষ এবং মে মাসের শুরুতেও সিকিমে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বারবার ধস নেমে আসায় গরমের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকদের বারবার ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রকৃতির এই মেজাজ কখন বদলায়, তার ওপরই নির্ভর করছে পর্যটকদের ফের সিকিম ভ্রমণের আনন্দ।