ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:কলকাতায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে অনুমতি দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গোবর্ধন গিরি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি সংগঠন। প্রথমে এই সংগঠন কলকাতা পুলিশকে মিছিলের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, তবে পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার কারণে সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পুলিশ বলেছিল, শহরের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় এই মিছিলের আয়োজন করা সম্ভব নয়।
কর্ণাটকে মুসলিম ঠিকাদারদের জন্য সংরক্ষণঃ সমালোচনায় মুখর বিজেপি
শর্তাবলী
এরপর, সংগঠনটি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে, এবং আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়। আদালত জানায়, তারা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি, লোয়ার সার্কুলার রোড, মৌলালি ক্রসিং হয়ে বেকবাগান পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পাবে। তবে, মিছিলে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, মিছিল বিকেল চারটার মধ্যে শেষ করতে হবে, এবং মিছিলে ১০০০ জনের বেশি মানুষ অংশ নিতে পারবে না।হাইকোর্ট আরও জানায়, মিছিলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের উপস্থিতি থাকতে হবে। পুলিশকে বলা হয়েছে, যদি কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তবে তারা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। মিছিল শেষে, কয়েকজন প্রতিনিধি বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে পারবেন, বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ট্যাব কেনার জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার আরও চার জন
এটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাল পরিস্থিতি চলছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। গণ আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পরিবর্তন হয়ে যায় এবং নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। এর আগে, হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।এই প্রতিবাদ মিছিলের মাধ্যমে কলকাতার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি যে অবিচার চলছে, তা নিয়ে জনমত গঠন করতে চায় এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে চায়। আদালতের অনুমতি পাওয়ায় মিছিলটি এখন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তবে তা কিছু শর্তাবলী মেনে।