ব্যুরো নিউজ,১৯ নভেম্বর:সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ পথে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যা শহরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা মেট্রোর কর্তৃপক্ষ কালীঘাট স্টেশনে গার্ডরেল বসানোর ব্যবস্থা করলেও, যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এই ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর নয়। কিছু যাত্রী প্রশ্ন তুলছেন কেন অন্যান্য মেট্রোপথের প্ল্যাটফর্মে কাচের স্ক্রিন ডোর বসানো হয়নি, যেমনটি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে রয়েছে।কলকাতা মেট্রোর কর্তৃপক্ষের একাংশ দাবি করছেন, দেশের অন্য বড় শহরগুলোর মতো কলকাতায়ও সব মেট্রোপথে স্ক্রিন ডোর বসানো হয়নি। তাদের মতে, দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো শহরেও সমস্ত মেট্রো রুটে স্ক্রিন ডোর নেই। তবে, মেট্রোর অন্য কর্মকর্তারা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের মতে, কলকাতা মেট্রোর সব রুটে কাচের স্ক্রিন ডোর বসানোর প্রধান বাধা হলো বিপুল খরচ এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা। প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর কার্যকরভাবে বসাতে হলে ট্রেন নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির প্রয়োজন, যাতে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর এবং ট্রেনের দরজা একসাথে খুলতে পারে।
কসবা হামলার নেপথ্যে জমি দখল, শত্রুতা এবং রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিলতা
যাত্রীদের নিরাপত্তা
এখন, কলকাতা মেট্রোর নির্মাণাধীন নতুন রুটগুলির মধ্যে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, জোকা-এসপ্লানেড এবং নোয়াপাড়া-বারাসত রুটের কাজ চলছে। তবে, এসব রুটের স্টেশনগুলোতে স্ক্রিন ডোর বসানোর জন্য প্রযুক্তিগত এবং খরচের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। শুধু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর এবং ট্রেন নিয়ন্ত্রণে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে, কিন্তু অন্য রুটগুলিতে এই প্রযুক্তি বসাতে আরও অনেক সময় লাগবে।অফিসারদের মতে, এই খরচ একেকটি স্টেশনেই সাত থেকে আট কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যেমন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর তুলনায় নতুন রুটের স্টেশনগুলির প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বেশি, ফলে স্ক্রিন ডোর বসানোর খরচও অনেক বেশি হবে। এছাড়া, কালীঘাট স্টেশনে বসানো গার্ডরেল এবং স্বয়ংক্রিয় বুম বার ব্যবস্থা খুবই কার্যকর, কিন্তু এর সঙ্গে সঠিক প্রযুক্তি প্রয়োজন, যা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
আবাস প্লাসের তালিকায় বঞ্চিতঃ সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত নিম্নবর্গের মানুষ
কিন্তু কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর এবং নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রোর বিমানবন্দর স্টেশনে স্ক্রিন ডোর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, সিগন্যালিং এবং ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়নেও কিছু কাজ চলছে। তবে, পুরো ব্যবস্থা কার্যকর করতে আরও কিছু বছর সময় লাগতে পারে।বর্তমানে, প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতা এবং খরচের কারণে সব মেট্রো রুটে স্ক্রিন ডোর বসানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ার জন্য কাজ করছে, যাতে ভবিষ্যতে যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো যায়।