ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:অবশেষে ৪২ দিন পর জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতি আংশিক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার জেনারেল বডির বৈঠকের পর আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৯ আগস্ট আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনার পর থেকেই তারা এই কর্মবিরতি পালন করছিলেন। গত ন’দিন ধরে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাদের ধর্না চলছিল।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে, পাশাপাশি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকগুলোতে জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন। আপাতত তারা কর্মবিরতি আংশিক তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
কোটি টাকার হিরে ও সোনা , প্রাক্তন আমলার বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ডাক্তাররা
বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নামঞ্চ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, শুক্রবার থেকে তারা কর্মবিরতি আংশিক তুলে নেবেন। ধর্নামঞ্চ উঠবে শুক্রবারই। বিকেল ৩টে নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের একটি মিছিল হবে, যা তাদের অবস্থান তুলে নেওয়ার প্রতীক হিসেবে কাজ করবে। শনিবার থেকে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন।আন্দোলনকারী এক ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘আমরা মিছিলের পরে নিজ নিজ কলেজে ফিরে গিয়ে বিভাগ ভিত্তিক এসওপি তৈরি করব। যেখানে যেখানে খুব প্রয়োজন, সেগুলি চিহ্নিত করা হবে। শুধুমাত্র অতিপ্রয়োজনীয় জায়গায় আমরা কাজ করব। অন্য জায়গায় আমাদের কর্মবিরতি চলবে। প্রয়োজনে পূর্ণ কর্মবিরতিতেও ফিরতে পারি।’
বিক্রান্ত মাশায়ের আবেগময় গল্প, ফিল্মফেয়ার ও সাধারণ জীবনের মহত্ব
রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন দফায় বৈঠক করে আন্দোলনকারীরা অনেক দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়েছেন, তবে কিছু দাবি এখনও ঝুলে আছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের অপসারণকে তারা জয় হিসেবে দেখছেন। সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারিকেও তারা আন্দোলনের ফল বলেই মনে করছেন। তবে সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতাল ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বুধবার তাদের দাবি নিয়ে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হলেও, ডাক্তাররা হতাশা প্রকাশ করেন। বৈঠকের কার্যবিবরণীতে মুখ্যসচিব স্বাক্ষর না করায় তাদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি হয়।এরপর, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দেওয়া হয় যাতে রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করএ।চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসচিব একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই সমস্ত developments-গুলো দেখেই জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি আংশিক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।