ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন আইএএস আমলা মোহিন্দর সিংহের বাড়িতে সম্প্রতি হিরে ও সোনার বিশাল ভান্ডার উদ্ধার হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি ‘লোটাস ৩০০ প্রোজেক্ট’ মামলার অংশ হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের সময় দিল্লি, নয়ডা, মিরাট ও চণ্ডীগড়ের মতো শহরগুলোতেও নজরদারি চলছে।
বিক্রান্ত মাশায়ের আবেগময় গল্প, ফিল্মফেয়ার ও সাধারণ জীবনের মহত্ব
১২ কোটি টাকার হিরে এবং ৭ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়
মোহিন্দর সিংহের বাড়িতে যখন ইডির একটি দল তল্লাশি চালায়, তখন তারা ১২ কোটি টাকার হিরে এবং ৭ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করে। প্রাক্তন আমলা ১৯৭৭ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৮ সালে প্রশাসনিক পরিষেবায় যোগদান করেন এবং ২০১২ সালে অবসর নেন। তিনি উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কাজ করেছেন, বিশেষ করে যখন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী ক্ষমতায় ছিলেন সেই সময় মোহিন্দরকে নয়ডা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।মোহিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে, বিশেষ করে সুপারটেক এবং আম্রপালি বিল্ডার সংক্রান্ত মামলায়। তদন্তে জানা গেছে, এই প্রাক্তন আমলাকে ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ক্যাটরিনা কাইফের সৌন্দর্য নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা, স্বামী ভিকি কি বলেন স্ত্রীকে?
অভিযানের সময় ইডি কোনো নির্দিষ্ট মামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে, তবে তাদের এই উদ্যোগ স্পষ্টতই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সম্পত্তির অস্বাভাবিক সংরক্ষণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের অংশ। দেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে জনসাধারণের মধ্যে এই ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে, যেমন- একজন প্রাক্তন আমলার বাড়িতে এত বিপুল পরিমাণে হিরে এবং সোনা থাকার পেছনে কি কারণ রয়েছে? তদন্তে কি নতুন দিক উন্মোচিত হবে? দেশের মানুষের কাছে এই ধরনের দুর্নীতির বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। যদিও তদন্ত চলছে, তবে মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।আশা করা যায় সমগ্র বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অনাস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।