ব্যুরো নিউজ,২ নভেম্বর:দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা আর জি করে নির্যাতিতার হত্যার তদন্ত নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিস হালদার নামের একজন মুখপাত্র বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বিচার না পাওয়ার ৮৪তম দিন চলছে এবং তারা এই মামলায় সুবিচারের জন্য সোচ্চার রয়েছেন।হালদার বলেন, ‘আমরা রাজপথ দখল করেছি, কোটি কণ্ঠে স্লোগান তুলেছি। আমাদের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতা পুলিশ তদন্তের নামে অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে।যদিও সিবিআই এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে, তবুও তদন্তের গতি অত্যন্ত ধীর।
নারকেলডাঙা ঘটনায় ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সতর্কবার্তা
এই আন্দোলন চলবে
তিনি আরও প্রশ্ন করেন, ‘৯ তারিখে অটোপসি থেকে নমুনা নেওয়ার পর কেন ১৪ তারিখে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হল?’ এছাড়া, সঞ্জয় রায়ের জামাকাপড় এবং ঘটনার সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।চার্জশিটে যে সব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে গুরুতর অসঙ্গতি রয়েছে। যেমন, অভয়ার বাবা-মা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কেন তারা তিন ঘণ্টা ধরে মৃতদেহের কাছে যেতে পারেননি? এবং কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এফআইআর করতে গড়িমসি করেছে? তিনি এও উল্লেখ করেন যে, ‘নির্যাতিতার বাবা-মা কে মৃতদেহের সৎকারে বাধা দেওয়ার কারণ কী?’ এবং এই সৎকারের সময় পুলিশ কীভাবে এত দ্রুত কাজ করেছিল?
সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স গায়েব, অসহায় সাধারণ মানুষ
জুনিয়র ডাক্তাররা ৯ নভেম্নর ‘দ্রোহের গ্যালারি’ প্রদর্শনী এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। পাশাপাশি, বিকেল তিনটেয় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিক মিছিলের ডাক দিচ্ছেন।এখন তারা বাংলার বিভিন্ন জেলার জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে তারা নিজেদের মতামত জানিয়ে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকেই তদের মত করে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন, তা হোক মিছিল, সমাবেশ বা মানববন্ধন।জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, ‘নির্যাতিতার ন্যায়বিচার আমাদের অঙ্গীকার। আমরা রাজপথ ছাড়ছি না এবং এই আন্দোলন চলবে।’