Why don't you eat Kul before Saraswati Puja?

ব্যুরো নিউজ, ৮ ফেব্রুয়ারি: দুয়ারে কড়া নাড়ছে মিনি ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পরিচিত বাঙালির অন্যতম প্রিয় উৎসব সরস্বতী পুজো। আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো। সমস্ত ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি দিন। প্রায় সারা বছর ধরে সকলে সকলে অপেক্ষা করে থাকে এই বিশেষ দিনটির জন্য। এই পুজো উপলক্ষে যেই ফলের নাম বিশেষভাবে উঠে আসে তা হলো ‘কুল’। এই পুজোর সাথে কুলের সম্পর্ক নিবিড়।

বাগদেবীর আরাধনার আগে কুল খাওয়া বারণ কেন? 

Saraswati Puja

পৌষ মাসের মাঝামাঝি বাজারে কুল দেখতে পাওয়া যায়। ছোট্ট এই ফলটি বিশেষভাবে দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। তবে, আমরা সেই কোন ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি যে সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নিষেধ। সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে নাকি মা সরস্বতী রাগ করে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন। তবে এর পিছনে থাকা কারণ আমাদের জানা আছে কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেতে নেই তার আসল কারণ।

এই চার রাশির জন্য সুখবর! আর থাকতে হবে না সিঙ্গেল, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তেই জীবনে আসবে প্রেম

সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু প্রচলিত রীতি। তার মধ্যে একটি হলো কৃষি প্রধান রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী মরসুমের প্রথম ফলই দেবতাকে উৎসর্গ করতে হয়। পৌষ-মাঘ মাসে বাজারে খুব সহজে কুল পাওয়া যায়। আর সেই সময় বসন্ত পঞ্চমীতে হয় সরস্বতী পুজো। তাই বসন্ত পঞ্চমীতে সেই ফল মা সরস্বতীকে উৎসর্গ করে তা প্রসাদ হিসেবে খাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।

Advertisement of Hill 2 Ocean

তবে শুধু প্রচলিত রীতি নয়। এই নিয়ে আছে বহু পৌরাণিক কাহিনি। সেই কাহিনি অনুযায়ী, দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে ব্যাসদেব বহুদিন ধরে তপস্যায় রত ছিলেন। তবে, তাঁর তপস্যায় বসার আগে দেবী সরস্বতী সেই তপস্যাস্থলের পাশেই কুলের একটি বীজ রেখে তাঁকে একটি শর্ত দিয়েছিলেন। সেই শর্ত ছিল, যতদিন না সেই কুলের বীজ থেকে অঙ্কুর বেড়িয়ে সেই অঙ্কুর বড় গাছে পরিনত হয়ে তাঁর পাকা ফল ব্যাসদেবের মাথায় এসে ঠেকবে ততদিন পর্যন্ত ব্যাসদেবকে দেবী সরস্বতীর তপস্যা করে যেতে হবে। তিনি যদি তা করতে পারেন তবেই দেবী সরস্বতী খুশি হবেন।

Jujube Fruit

এরপর শর্ত অনুযায়ী তপস্যা শুরু করেন ব্যাসদেব। সেই গাছের নতুন ফল তাঁর মাথায় পড়ায়, তিনি বুঝতে পারেন, দেবী তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়েছেন। প্রসঙ্গত, সেই বিশেষ দিনটিই ছিল বসন্ত পঞ্চমী। সেই দিন ব্যাসদেব দেবীকে কুল নিবেদন করেন। সেইজন্যই বসন্ত পঞ্চমীতে দেবী সরস্বতীকে নিবেদন করার পর কুল খাওয়া হয়। তবে এতেই শেষ নয়। এর পিছনে আছে আরও কিছু কারণ। যেহেতু বসন্তকালে সর্দি-কাশি, জ্বর, ও পেটের সমস্যাজনিত বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দেয় তাই আধ পাকা বা কাঁচা কুল খেতে বারণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ফল মারাত্মক টক হওয়ার ফলে দাঁতের জন্যে ক্ষতিকারক। তাই এই ফল ওইসময় খেতে বারণ করা হয়। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর