ব্যুরো নিউজ ৫ সেপ্টেম্বর: গুজরাতের একটি গ্রাম চন্দনকি, যেখানে বয়স্কদের জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা। এখানে প্রায় পাঁচশো মানুষ বাস করেন, যাদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ। পরিবার ছেড়ে সন্তানরা শহরে চলে গেলেও, এই গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মায়েরা একসঙ্গে জীবন কাটাচ্ছেন।
রাজনীতির বাইরে শিক্ষক সত্তা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
কি কি ব্যাবস্থা আছে সেখানে ?
গ্রামে বিদ্যুতের আলো নেই, রান্নাঘরও নেই। কিন্তু এখানে শান্তি ও ভালোবাসা রয়েছে। আগে এখানে ১১০০ মানুষ বাস করত, কিন্তু এখন তাদের সংখ্যা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৫০০ । গ্রামটির সরপঞ্চ, পুনম ভাই প্যাটেল, নিউ ইয়র্ক থেকে ফিরে এসে কমিউনিটি কিচেন খুলেছেন।তিনি বলেন, “আমরা এক পরিবারের মতো। বিপদে সাহায্য ও আনন্দ ভাগাভাগি করি।” গ্রামবাসীরা মাথাপিছু মাসে মাত্র ২,০০০ টাকায় দু’বার খাবার পান। রান্নার জন্য ঠাকুররা ভাড়া করা হয়েছে, যারা ৫০০ বয়স্কদের জন্য খাবার তৈরি করেন।গ্রামের খাবারগুলি গুজরাতি ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। সপ্তাহে একদিন বিশেষ আয়োজন থাকে, যেখানে সবাই একসঙ্গে বসে খেয়ে থাকেন। কমিউনিটি কিচেনটি আধুনিকতার ছোঁয়াও পেয়েছে; সেখানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে।
পুজোয় ঘুরে আসুন কলকাতার কাছের অফবিট গন্তব্য
গ্রামের মানুষ নিজেদের ইচ্ছামতো জীবন কাটাচ্ছেন এবং কাজের থেকে মানসিক শান্তিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। চন্দনকি গ্রাম এখন দেশের মানুষের নজরে এসেছে। সরপঞ্চ প্যাটেল জানান, “কমিউনিটি কিচেন খোলার পর গ্রামটি একটি মডেল হয়ে উঠেছে।”এখানে বৃদ্ধদের জীবনের শেষ সময়টি কাটানোর অভিজ্ঞতা সত্যিই বিশেষ। আনন্দ, সহযোগিতা ও ঐক্যের মধ্যে কাটানো এই জীবন সবাইকে অনুপ্রাণিত করছে।