ব্যুরো নিউজ ,৫ মে: জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো রুটে আজ, সোমবার থেকে বড়সড় পরিবর্তন। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের চাহিদা মেটাতে এই পথে ট্রেনের সংখ্যা দ্বিগুণ করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এত দিন যেখানে দিনে ২২টি ট্রেন চলত, এখন থেকে চলবে ৪০টি ট্রেন।
আপাতত পরিষেবার সময়সীমা বাড়ছে না
দিঘার জগন্নাথধাম বিতর্কে মমতার গর্জন: ‘‘হিংসের ওষুধ হয় না!’’
নতুন সূচি অনুযায়ী, আপ ও ডাউন মিলিয়ে প্রতিদিন ২০টি করে ট্রেন এই রুটে চলবে। ফলে ট্রেনের ব্যবধান, যা এত দিন ছিল ৫০ মিনিট, তা কমে হবে মাত্র ২২ মিনিট। তবে আপাতত পরিষেবার সময়সীমা বাড়ছে না।
জানা গিয়েছে, পরবর্তী ধাপে যাত্রী সাড়া বুঝে এই মেট্রো পরিষেবার সময়ও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তখন জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো পথে অন্যান্য মেট্রোর মতো দুই শিফটে ট্রেন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই মেট্রো রুট সম্প্রসারিত হলেও এত দিন পরিষেবা ছিল নামমাত্র। তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরেও ট্রেনের ব্যবধান বেড়ে গিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছিল। অথচ এই রুটটি শিয়ালদহ-বজবজ রেললাইন, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর রবীন্দ্র সরোবর স্টেশন এবং চক্ররেল সংযোগের কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
মেট্রো সূত্রে খবর, এই রুটের গুরুত্ব বাড়াতে শুধু ট্রেন সংখ্যা নয়, স্টেশন পরিচালনায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০ জন কর্মী ও আধিকারিককে এই রুটের বিভিন্ন স্টেশনে বদলি করা হয়েছে।
তবে এই উদ্যোগের মাঝেই উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে কর্মচারী ইউনিয়নের তরফে। মেট্রো কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ‘‘ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো ভাল উদ্যোগ। তবে পরিষেবা সময় না বাড়ালে তা যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা দেবে না।’’ তাঁর অভিযোগ, নতুন নিয়োগ ছাড়া উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর কর্মীদের টেনে এই রুট চালানো হচ্ছে, যা সমস্যার সৃষ্টি করছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ধাপে ধাপে এই রুটের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে। ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি তার প্রথম পদক্ষেপ। পরিষেবার সময় বাড়ানো হবে যাত্রী চাপ বুঝে। লক্ষ্য একটাই — জোকা-মাঝেরহাট মেট্রোকে পূর্ণ সক্ষমতায় চালানো এবং দীর্ঘদিনের জটিলতা অবসান করা।
প্রসঙ্গত, পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো সম্প্রসারণে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, জোকা-এসপ্লানেড মেট্রো এত দিন সেই গুরুত্ব থেকে বঞ্চিত ছিল। এ বার সেই রুটেও গতি আনতে তৎপর মেট্রো কর্তৃপক্ষ।