ব্যুরো নিউজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি:২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, গুয়াহাটিতে শুরু এক বৃহৎ শিল্প সম্মেলন ‘Advantage Assam 2.0’। এই সম্মেলনের আয়োজক অসম সরকার, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শিল্প সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে, এবং এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিধানসভা ভোটের ঠিক এক বছর আগে। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা, যারা অসমে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
অন্ধ্রপ্রদেশের বাজেট অধিবেশন চলবে মার্চ ২১ পর্যন্ত, ২৮ ফেব্রুয়ারি জমে উঠবে বাজেট প্রস্তাবনা
টাটাদের ভূমিকা অপরিহার্য
২০০৮ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে এসে বাংলায় একটি বড় শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে, রাজনীতির কুঠারাঘাতে সেই স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল। টাটা গ্রুপের সেই কারখানাটি তখন শিল্পসম্ভাবনার মৃত্যুতে পরিণত হয়। কিন্তু সময় বদলেছে, আর এই পরিবর্তনেও টাটাদের ভূমিকা অপরিহার্য।এখন, ২০২৪ সালের মার্চে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাট ও অসমে সেমিকন্ডাক্টর কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এটি ভারতের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক। অসমে টাটা গোষ্ঠী এই কারখানার কাজ শুরু করেছে, যা ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। সেমিকন্ডাক্টর কারখানার মাধ্যমে অসমে নতুন শিল্প সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
এটি শুধুমাত্র অসমের জন্য নয়, বরং গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি বিশাল সুযোগ।এছাড়াও, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন এবং সেখানে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নির্মাণের জন্য আলোচনা করেছেন। ফলস্বরূপ, জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যেই অসমে এই কারখানা পরিদর্শন করেছেন এবং বিদেশি বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ বাজেট অধিবেশন শুরুঃ গভর্নরের ভাষণে সরকারের উন্নয়নমূলক উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে, ভারত এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে দেশব্যাপী তিনটি সমর-শিল্প করিডর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা হয়েছে, যার মধ্যে একটি অসমে। এই সমর-শিল্প করিডরের মাধ্যমে অসমে অস্ত্র তৈরির জন্য নতুন শিল্প স্থাপন হবে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, অসমে সমর-শিল্পের এই করিডরটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।অসমের এই শিল্প সম্ভাবনা আগামীতে আরও বৃহত্তর হবে। মোবাইল ফ্যাক্টরি, সেমিকন্ডাক্টর কারখানা, অনুসারী শিল্প—সবকিছুই অসমে গড়ে উঠবে। এই পরিবর্তনগুলি কেবল অসমের জন্য নয়, গোটা ভারতের জন্য একটি বিশাল শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ৭০ বছরের মধ্যে অসমে এমন বিপ্লব আর দেখা যায়নি।