ব্যুরো নিউজ,৩ জানুয়ারি:২০১৭ সালে ইয়েমেনের নাগরিক তালাল আব্দো মাহদি নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ভারতের নার্স নিমিশা প্রিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে, যার পরে সেই রায় অনুমোদন করেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি। সেসময় থেকেই ভারতীয় তরুণী নিমিশা প্রিয়ার পরিবার এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তাঁকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাত বছর ধরে ইয়েমেনের জেলে বন্দি এই নার্সের মুক্তির জন্য বিদেশ মন্ত্রক সব ধরনের সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, তবে এ বিষয়টি এখনও একেবারেই নিশ্চিত নয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকে পরিবহণ মন্ত্রী ভয়ঙ্কর চাপে
‘ব্লাড মানি’
২০১৮ সালে, নিমিশা শীর্ষ আদালতে তার বিচারের বিরুদ্ধে আবেদন করেন কিন্তু সে সময়ও তিনি হারেন। এরপর, ২০২৪ সালে নিমিশার মা ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে ইয়েমেন যান, এবং তিনি একাধিক বার মেয়ের জন্য প্রাণভিক্ষা জানান। তার মাকে এক বার শেষ বার আবেদন করতে দেখা যায়, “দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন, ওকে বাঁচান। সময় চলে যাচ্ছে।”বিরোধী শক্তির সঙ্গে ইয়েমেনের যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ভারতের সঙ্গে ইয়েমেনের সম্পর্কের জটিলতা এই পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। তবে, নিমিশার পরিবারের কাছে এখন একটি ক্ষীণ আশা রয়েছে, তা হলো ‘ব্লাড মানি’ বা ক্ষতিপূরণ। ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, এক বিশাল অঙ্কের অর্থ দিয়ে পরিবারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করা সম্ভব হতে পারে। তবে, মাহদির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও ক্ষতিপূরণের চেয়ে তার শাস্তিই চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের এমপি তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের সাতটি বিয়েঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন এটাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু
নিমিশা ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনে একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছিলেন। এক সময় সেখানে তাঁর সঙ্গে ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে দুই অংশীদারের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয় এবং পরবর্তীতে সেই বিরোধে মাহদির মৃত্যু ঘটে। তিনি ২০১৭ সালে মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করেন, এবং দেহটি টুকরো করে জলে ফেলে দেন। এরপর, তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।এখনও রয়েছে তাঁর মুক্তির সম্ভাবনা, তবে তা একমাত্র ব্লাড মানি এবং মাহদির পরিবার যদি প্রাণভিক্ষা দেন, তাহলে হয়তো কিছুটা আশা থাকতে পারে।