ব্যুরো নিউজ,১ ডিসেম্বর:বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা বন্ধ করা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।কিছু মানুষ মনে করছেন, মানবিক দিক থেকে বিষয়টি দেখা উচিত, আবার কিছু মানুষ বলছেন যে, বাংলাদেশকে এত সহায়তা দেওয়ার পর ভারতকে অপমান করার আগে ভাবা উচিত ছিল। ভারতীয় হাসপাতালগুলো, বিশেষত কলকাতা, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে সম্প্রতি কিছু হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা আর দেবে না।
ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন রুখতে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি আরএসএসের
পদক্ষেপ গ্রহণ
বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।তিনি বলেন, গোটা দেশের উচিত বাংলাদেশকে সব ধরনের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া। তিনি বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং একাধিক হাসপাতালের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।কলকাতার মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতালও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করেছে।হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বার বার ভারতকে অপমান করেছে, তাই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ত্রিপুরায় স্থানীয়রা হাসপাতালের সামনে তীব্র বিক্ষোভ দেখানোর পর ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতালও একই পথ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের ভারত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য
তবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ বলেছেন, এটা মানবিকতা বিরোধী। আবার, কেউ বলেছেন, বিশেষত চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুর হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীরা বেশি আসে।শমীক ভট্টাচার্যের পোস্টের পর অনেকে বিভিন্নভাবে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন, কিন্তু এই বিতর্কের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু হাসপাতাল ইতিমধ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
