ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি :প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনের আগে দাবি করেছিলেন, তাঁর শাসনকালে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার বাইরে এসেছেন। এবার তাঁর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমিকা রবি জানালেন, ২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
লাদাখে চিনা সেনার মোকাবিলায় আসছে ভারতীয় হালকা ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’
কীভাবে পরিমাপ করা হলো দারিদ্র্যসীমা?
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নীতি আয়োগের বহুমুখী দারিদ্র সূচকের (MPI) রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২৪.৯ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করেছিলেন, এই সূচকে মোদী সরকার নিজস্ব মাপকাঠি যোগ করেছে। যেমন, জনধন যোজনায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যদিও অনেক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা।
আগে কেমন ছিল দারিদ্রসীমা?
মনমোহন সিংয়ের আমলে অর্থনীতিবিদ সুরেশ তেন্ডুলকরের তৈরি দারিদ্রসীমায় বলা হয়েছিল, শহরে ৫৭৯ টাকা ও গ্রামে ৪৪৭ টাকার কম খরচ করলে কেউ দরিদ্র বলে গণ্য হবে। পরে সি. রঙ্গরাজন এই সীমা বাড়িয়ে শহরে ১,৪০৭ টাকা ও গ্রামে ৯৭২ টাকা করেন। শমিকা রবির মতে, এই হিসেব অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৯.৫%, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে হয়েছে মাত্র ৪%।
পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র কমেছে?
শমিকার তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র্যের হার ৩০.৪% থেকে কমে ৬% হয়েছে। তিনি বলেন, “দেশের প্রতিটি রাজ্যে দারিদ্র কমেছে। গত এক দশকে এই পরিবর্তন ঐতিহাসিক।”
ভারতের উপর শুল্কের কোপ! ট্রাম্পের ঘোষণা ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর নতুন নীতি
সরকারের দাবি ও সমালোচনা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, “মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সরাসরি গরিব মানুষের কাছে পৌঁছানোর ফলে দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে।” যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, সরকারের পরিমাপ পদ্ধতি নিয়ে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।ভারতে দারিদ্রের হার সত্যিই এতটা কমেছে, নাকি হিসাবের ফাঁকে কিছু গোপন থেকে গেছে? এই বিতর্ক এখনও চলবে।