ব্যুরো নিউজ, ১৩ মে : গত নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন মহম্মদ মুইজ্জু। প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল মুইজ্জু চীনাপন্থী। আর এরপর থেকেই শুরু হয় সমস্যার সূত্রপাত। প্রথমে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা হাঁটানোর বার্তা দেয়। এমনকি ভারতীয় সেনা সরানোর জন্য সময়সীমা বেঁধেও দেয় মালদ্বীপ সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে শোনা যায় ওই দেশের তিন মন্ত্রিকে।
ফের ভারতে ‘গুপ্তচর’ ড্রোন! ভারতের আকাশসীমায় ওড়ার পর পাকিস্তানের দিকে ধাঁ..
এখানেই শেষ নয়, ভারতীয়দের মাটি ছাড়াও করে মইজ্জুর সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশে অবৈধ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ তুলে ৪৩ জন ভারতীয় নাগরিককে মলদ্বীপ থেকে বেড় করে দেয় মলদ্বীপের মুইজ্জুর সরকার। বিনা কারণে ভারতের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে সংঘাত চালালে। ভারতও মুখ ফিরিয়ে নেয় মলদ্বীপের থেকে। আর ভারত মুখ ফেরাতেই মুখ থুবরে পড়ে সেদেশের পর্যটন শিল্প। এমনকি নামি-দামি ব্যক্তিত্ব, ফ্লিমস্টার, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি সকলেই সেদেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে। আর তাতেই জোর ধাক্কা খায় সেদেশের অর্থনীতি। মূলত এই দেশের অর্থনীতির শিরদ্বারা হল পর্যটন শিল্প। আর তাতেই জোর ধাক্কা দেয় ভারত। শুধু তাই নয়, একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হয় মালদ্বীপ। পর্যটন, শিক্ষার পর এবার মালদ্বীপে তীব্র জলকষ্টও দেখা যায়। তার মধ্যেই ভারত সরকার ৭৬ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নিলে কাজ্জত সমস্যায় পড়ে মলদ্বীপ।
উড়ন্ত ট্যাক্সিতে যাওয়া যাবে হজ! চলতি বছরে হজযাত্রীদের জন্য নয়া চমক!
ভারতীয় সেনা সরানোর জন্য মালদ্বীপ সরকার সময়সীমা বেঁধেও দিলে। ১০ মে-র মধ্যে মালদ্বীপ থেকে সমস্ত ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। এরপরেই কার্যত নিজেদের জালেই আটকা পড়ে দ্বীপরাষ্ট্র। ৭৬ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নিলে কাজ্জত চাপের মুখে পড়ে মলদ্বীপ। গত সপ্তাহেই সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন। আর সেখানেই তিনি জানান, মলদ্বীপকে দেওয়া ভারতের দেওয়া দুটি হেলিকপ্টার ও ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফ্ট থাকলেও তা চালানোর মত কোনও দক্ষ পাইলট নেই। তাদের সেনা বাহিনিতে এই এয়ারক্রাফ্ট ও হেলিকপ্টার ওড়ানোর জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত দক্ষ পাইলট নেই।