ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি :লাদাখে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার হাতে দ্রুত আসছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’। ইতিমধ্যেই কয়েক দফা সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে দ্রুত কাজ চলছে।
ভারতের উপর শুল্কের কোপ! ট্রাম্পের ঘোষণা ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর নতুন নীতি
বিশ্বমানের কামান যুক্ত হচ্ছে জোরাবরে
ট্যাঙ্কের মূল শক্তি থাকে তার কামানে। এই কারণেই জোরাবরের ১০৫ এমএম রাইফেলিং গান এবং ৩৬০ ডিগ্রি ঘূর্ণনক্ষম টারেট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেলজিয়ামের বিখ্যাত প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘জন ককেরিল ডিফেন্স’-কে। ভারতেই এই টারেট যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হবে।২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা হামলার পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার কাজ শুরু হয়। ভারী ওজনের কারণে ‘অর্জুন’, রুশ ‘টি-৯০ (ভীষ্ম)’ ও ‘টি-৭২ (অজেয়)’ লাদাখের পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত ছিল না।
তাই চিনের হালকা ট্যাঙ্ক ‘জেডটিকিউ-১৫’-এর মোকাবিলায় ভারতকে পুরনো ‘বিএমপি-২ ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল’-এর উপর নির্ভর করতে হয়েছিল। এরপরই হালকা ট্যাঙ্ক তৈরির দাবি ওঠে সেনার পক্ষ থেকে।প্রাথমিকভাবে বিদেশ থেকে ট্যাঙ্ক আমদানির পরিকল্পনা করা হলেও, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের অধীনে দেশীয়ভাবে এটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও এবং এল অ্যান্ড টি মিলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দেশে বাড়ছে বিরল রোগ শনাক্তকরণের উদ্যোগ, কলকাতায় বিশেষ প্রকল্প শুরু
লাদাখের কঠিন পরিবেশে জোরাবরের একাধিক পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গুজরাতের হাজিরায় ‘ট্র্যাক ট্রায়াল’-এর মাধ্যমে ট্যাঙ্কের ইস্পাতের চেনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক।জোরাবরের সংযোজনের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা লাদাখের কঠিন ভূখণ্ডে আরও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে পারবে। খুব শীঘ্রই এই হালকা ট্যাঙ্ক সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হবে।