ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য একটি নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেমচক এবং ডেপস্যাং অঞ্চলে প্রথমবারের মতো যৌথ টহল দিয়েছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। এই টহলটি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্কের উন্নতি এবং পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ও চিনের সেনারা এক সপ্তাহ পরপর এই অঞ্চলে টহল দেবে এবং আশা করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে একে অপরের প্রতি আস্থা সৃষ্টি হবে, যা সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে।
মাইক ওয়াল্টজের নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে বড় ঘোষণা
পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে চলতি বছর কিছু চুক্তি সই হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে এই যৌথ টহল শুরু হয়েছে। ডেমচক এবং ডেপস্যাং—এই দুই অঞ্চলে ভারতীয় সেনারা ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো টহল দিয়েছে। এসব অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল এবং চিনের সেনারা ভারতীয় সেনাকে টহল দিতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু এবার, দুই দেশের সেনারা একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে টহল দিচ্ছে এবং সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারত এবং চিন দুই পক্ষই সেনা প্রত্যাহারের পর এই অঞ্চলে পুনরায় যৌথভাবে টহল দিচ্ছে।’ এছাড়া, ভারতে এবং চিনে সেনার নিয়মিত বৈঠক এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছরে ডেপস্যাং এবং ডেমচক অঞ্চলে চিনের সেনা ভারতীয় দিক থেকে সেনা টহল দানে বাধা দিয়ে আসছিল, কিন্তু এখন সেখানকার পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
মাস্ক এবং বিবেককে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিলেন ট্রাম্প, ঘোষণা করলেন বড় পদক্ষেপ
চীন যখন ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিচ্ছিল, তখন তাদের তরফ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি বিভিন্ন অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল। এখন, সেসব তাঁবু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেনাদের যৌথ টহল নিশ্চিত করতে একটি “ভেরিফিকেশন” প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে, যার মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহার সঠিকভাবে হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হয়েছে।ভারত এবং চিনের মধ্যে এই সহযোগিতা ভবিষ্যতে সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। যৌথ টহল এবং সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া এই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।