ব্যুরো নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর :আলিপুরদুয়ারের এক ক্লাস নাইনের ছাত্র অকপটভাবে স্বীকার করে, জ্যামিতিতে দুর্বলতার কারণে গণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির রূপরেখা সাজাতে চ্যাটজিপিটি-র সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছে। একা তিনি নন, বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে (বিআইটিএম) আয়োজিত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট সায়েন্স সেমিনারে ৪৬ জন প্রতিযোগী ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আশা ও আশঙ্কা’ নিয়ে নিজেদের মতামত পেশ করেছেন, যার বেশিরভাগই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি।
জলপাইগুড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু পরিবারের চার জনের
ছোটদের ভাবনা-চিন্তার ব্যাঘাত
১৯৮৪ সালে রুপোলি পর্দায় মুক্তি পাওয়া ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমাটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষের লড়াইকে তুলে ধরেছিল। সেখান থেকেই আজকের যুগের প্রযুক্তি নির্ভরতা বোঝা যায়। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে মানুষ যেভাবে যন্ত্রের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, তা নিয়ে চিন্তাশীল ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন। ইউভাল নোয়া হারারি তার ‘নেক্সাস: এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ ইনফর্মেশন নেটওয়ার্কস ফ্রম দ্য স্টোন এজ টু এআই’ বইতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
‘আমরা বিচার চাই’—লগ্নজিতার নতুন উদ্যোগ
হারারি বলেন, মানুষের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে কথা না বলে মোবাইল ফোনে চ্যাট করছে। এমনকি রাস্তা চিনতে অসুবিধা হলেও তারা প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে। এই প্রযুক্তিমুখী প্রবণতা মানুষকে নির্ভরশীল করে তুলছে।
বিশিষ্ট সমাজতত্ত্ববিদ প্রশান্ত রায় উল্লেখ করেন, আগে প্রবীণরা একসঙ্গে আড্ডা দিতেন, কিন্তু বর্তমানে স্মার্টফোনের অমোঘ আকর্ষণ আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। নীতিন চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন, উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৃদ্ধি জনসাধারণের চিন্তার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। নতুন প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা কমে যাচ্ছে, কারণ যন্ত্রই এখন সব কাজ করে দিচ্ছে।