ব্যুরো নিউজ,২৫ অক্টোবর:উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ মাদ্রাসাগুলিকে চিহ্নিতকরণ শুরু করেছে অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় তিন দশক ধরে উত্তরপ্রদেশ এবিং নেপাল সীমান্তের বিভিন্ন জেলায় বেআইনিভাবে মাদ্রাসা স্থাপিত হয়েছে। এই তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি এ কে জৈন। তিনি জানান, অবৈধভাবে পরিচালিত এসব মাদ্রাসায় কারা পড়াশোনা করছে, কারা শিক্ষকতা করছে, অর্থায়ন কীভাবে হচ্ছে এবং মাদ্রাসার শিক্ষাপদ্ধতি কেমন, তা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।
শুক্রবারের রাশিফলঃ কোন রাশির জন্য শুভ, কারা থাকবেন সতর্ক? জেনে নিন
রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে
জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষা না দিয়ে শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ আরও উঠেছে,দরিদ্র অনগ্রসর জাতির মানুষদের মাদ্রাসাগুলি থেকে ধর্মান্তরকরণ করানো, অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া এবং দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এর পাশাপাশি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো নেতারা ইতোমধ্যে অবৈধ মাদ্রাসার কার্যকলাপ বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছেন।এই পদক্ষেপ উত্তরপ্রদেশেও আলোচিত হয়েছে।উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা এবং নেপাল সীমান্ত অঞ্চলে ৪,১৯১টি মাদ্রাসা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে অধিকাংশই বেআইনি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বাহরাইচ, গোন্ডা, মায়ো, এবং অন্যান্য নেপাল সীমান্তের জেলা থেকে ATS মাদ্রাসাগুলিকে শনাক্ত করেছে এবং এতে বিদেশি অর্থ অনুদানের অভিযোগও উঠেছে।বাহরাইচে ৫০০ মাদ্রাসা চিহ্নিত হয়েছে,বাহরাইচে ৭৫২ টি মাদ্রাসার মধ্যে ৪৯৫ টি মাদ্রাসা কে ইতিমধ্যেই বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে যেগুলো বিদেশি অর্থ পেয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গোন্ডায় ২৮৬টি মাদ্রাসা ইতোমধ্যে তদন্তের আওতায় এসেছে। এসব মাদ্রাসার শিক্ষকদের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত নথিপত্রের অভাব থাকায় তারা ভারতীয় নাগরিক কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
কাশ্মীরে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলাঃ দুই সেনা শহিদ, আহত তিনজন
একের পর এক অবৈধ মাদ্রাসা চিহ্নিত করায় রাজ্যের রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত। বিরোধী দল কংগ্রেস, বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদক্ষেপকে ‘প্রতিহিংসামূলক’ আখ্যা দিয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসন ও ATS-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অনগ্রসর জাতি কল্যাণ পদাধিকারীর নির্দেশে এই অভিযান চলছে এবং এটি শুধুমাত্র অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের একটি অংশ।এই অভিযান নিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে তুমুল বিতর্ক চলছে এবং কেন্দ্র সরকারও অবৈধ মাদ্রাসাগুলির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হচ্ছে।