ব্যুরো নিউজ, ২৮ নভেম্বর : রোজকার পাতে দই রাখা অনেকেরই অভ্যাস। কেউ রান্নায় ব্যবহার করেন আবার কেউ দুধের বিকল্প হিসেবেও খান। দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিকস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে মিষ্টি দই নয় পুষ্টিবিদেরা রোজকার পাতে টক দই রাখার পরামর্শ দেন যা প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ।
কেনা প্যাকেটের দই ভালো, না কি ঘরে তৈরি দই বেশি উপকারি?

বেশিরভাগ মানুষ সময়ের অভাবে দোকান থেকে কেনা প্যাকেটের দই খেয়ে থাকেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন যে ঘরে তৈরি দই অনেক বেশি উপকারী। কারণ বাড়িতে খাঁটি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা দইয়ে কোনও ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয় না এবং এটি শরীরে বেশি উপকারে আসে। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানান, প্যাকেটের দই পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে তৈরি হয় যার ফলে এতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। কিন্তু ঘরে তৈরি দইতে এই প্রোবায়োটিকস ঠিকভাবে থাকে, ফলে তা খেলে শরীরের উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।তবে কি প্যাকেটের দই খাওয়া খারাপ? পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন সব সময় নয়। প্যাকেটের দইয়ে প্রোবায়োটিক কম থাকতে পারে, তবে এতে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, এবং ভিটামিন ভালো পরিমাণে থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু ঘরে দুধ বেশি সময় ধরে ফোটালে এতে থাকা ভিটামিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।প্যাকেটের দই কিনলে অবশ্যই তার উপকরণ দেখে কিনতে হবে। বাজারে গ্রিক ইয়োগার্টের মতো কিছু দই পাওয়া যায় যার ফ্যাটের পরিমাণ কম এবং প্রোটিন ও ভিটামিন বেশি থাকে। তবে অনেক কোম্পানি প্যাকেটের দইতে অতিরিক্ত কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, প্যাকেটের দই দীর্ঘ সময় টাটকা রাখতে রাসায়নিক মেশানো হয়, তাই সব সময় উপকরণ দেখে কিনতে হবে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখও দেখে নেবেন।
আপার প্রাইমারির প্যারাটিচারদের জন্য নতুন যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ!
যদিও প্যাকেটের দই ১০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত ভাল থাকে, কিন্তু ঘরে তৈরি দই সাধারণত ৫ দিনের বেশি থাকে না। তাই ঘরে তৈরি দই খাওয়ার জন্য তার সময় দেখেই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঘরে পাতা টক দই এক ছোট বাটিতে রোজ ১০০-২০০ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে। তবে যদি কৃত্রিম স্বাদ ও গন্ধযুক্ত দই খান, তাহলে এর কোনও উপকারিতা হবে না। কাজেই, ঘরে পাতা টক দই খাওয়াই সর্বোত্তম।