ব্যুরো নিউজ, ২০ এপ্রিল: দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ইতি মধ্যে ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। গরমে নাজেহাল শহরবাসী। ছাতা, রুমাল, সানগ্লাস রোদের তাপের কাছে সবকিছুই হার মানছে। আর এই অত্যাধিক গরমে যে শারীরিক সমস্যাটা সবথেকে বেশি দেখা যায় সেটা হল হিটস্ট্রোক। তাই সময় মত সতর্ক হোন, এবং হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচুন।সময় মত সতর্ক না হলে হতে পারে বড় বিপদ।
জানতে চান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রাফিক জ্যাম কোনটি? দীর্ঘ এই যানজটে জন্ম হয়েছিল ৩০ টি শিশুর
হিট স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে গেলে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে-
এসি কিনেছেন? জেনে নিন কীভাবে কমাবেন বিদ্যুতের বিল
এই গরমে কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হলে ছাতা, সানগ্লাস এবং স্টোল অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখুন।
এই সময় যতটা সম্ভব বেশি জল পান করুন। বাইরে বেরোলে অবশ্যই জল সঙ্গে রাখুন। ফলের রস এই সময় খুবই উপকারী
এই সময়ে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পড়ুন।
এই সময় যতটা সম্ভব কম রোদে ঘোরাঘুরি করুন। সম্ভব হলে অতিরিক্ত পরিশ্রম যুক্ত কাছ থেকে ব্যাহত থাকুন।
অতিরিক্ত তেল মসলা ও চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করুন। যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান।
চা, কফি, অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন।
সকাল ১১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোরই চেষ্টা করুন
সাধারণত শিশু এবং বয়স্কদের হিটস্ট্রোক বেশি হয়।রিকশাচালক, কৃষিজীবী, নির্মাণশ্রমিক, খনিশ্রমিকদেরও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ:
হিটস্ট্রোক হওয়ার কিছুক্ষ্ণ আগে শরীরে অত্যধিক তাপমাত্রা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, ঝিমুনি, বমি বমি ভাব ইত্যাদি হয়। এছাডা চামড়া লালচে হয়ে যাওয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, হাঁটায় অসুবিধা, রক্তচাপ কমে যাওয়া, ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, বমি, অসংলগ্ন কথাবার্তা বা আচরণ, ঘন ঘন শ্বাস, নাড়ির দ্রুত গতি, চোখের মণি বড় হওয়া, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলি দেখা যায়।
চিকিৎসা:
আপনি বাইরে থাকাকালীন যদি উপরিউক্ত লক্ষণগুলি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই কোন শীতল জায়গায় বসার চেষ্টা করুন। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মোছবার চেষ্টা করুন। ঘরে থাকলে পাখার তলায় বসুন। প্রচুর জল অথবা স্যালাইন পান করুন। চোখে, মুখে, ঘাড়ে, বগলে জল দিন। এতে যদি কাজ না হয়, তাহলে যতটা দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সমস্যা কোনভাবেই ফেলে রাখবেন না, সময় মত চিকিৎসা না হলে প্রাণহানিও হতে পারে।