ব্যুরো নিউজ ২ নভেম্বর : বর্তমানে অনেক শিশুই শ্রবণশক্তির সমস্যায় ভুগছে। শিশুদের মধ্যে কানে কম শোনা এমনকি বধিরতার সমস্যাও বেড়ে চলেছে। এই সমস্যার পিছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এটি জন্মগতও হতে পারে, আবার অতিরিক্ত শব্দদূষণ এবং দীর্ঘসময় ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহারের ফলেও এমনটা হতে পারে। আজকাল অনেক বাবা-মাই শিশুর বায়না থামাতে মোবাইল বা ইয়ারফোনের মাধ্যমে গান শোনাচ্ছেন। এই অভ্যাস শিশুর শ্রবণশক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, কান পরিষ্কার করার সময় অতিরিক্ত খোঁচাখুঁচি, ধাতব বস্তু ব্যবহার, অথবা উচ্চস্বরে ইয়ারফোনে গান শোনার ফলে অন্তর্কর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ৮০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ কানে গেলে তা কানের পর্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এমনকি পর্দা ফেটে যেতে পারে এবং কানে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
রুক্ষ ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চান? কলার খোসাই প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক
শিশুর শ্রবণশক্তি রক্ষা করার জন্য বাবা-মায়েদের করণীয়
১. কান পরিষ্কার নিয়ে সতর্ক থাকুন: কানের ময়লা সাধারণত নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে, তাই অযথা খোঁচাখুঁচি না করাই ভালো। কাঠি, পেনসিল বা অন্য কোনো বস্তু ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কানের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. ইয়ারফোন ও হেডফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন: শিশুর হাতে ইয়ারফোন বা হেডফোন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি শোনা জরুরি হয়, তবে বিরতি নিয়ে শুনতে উৎসাহ দিন।
৩. অতিরিক্ত শব্দ এড়াতে সাহায্য করুন: উচ্চস্বরে শব্দ শিশুদের শ্রবণ ও বোঝার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। শব্দ শুনে অর্থ বুঝতে বা নির্দেশ মেনে কাজ করায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এমন পরিবেশে শব্দ কম রাখুন।
শিক্ষা দফতরে তথ্যের অপ্রতুলতাঃ শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে পারছে না!
৪. ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন: খুব বেশি শব্দযুক্ত পরিবেশে শিশু থাকলে তাদের কানে ইয়ার প্লাগ লাগিয়ে দিন। বাড়িতেও উচ্চস্বরে গান চালানো বা শিশুর কানের কাছে জোরে চেঁচিয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলুন।
৫. দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করুন: উচ্চস্বরে শব্দ কানের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে, যা শিশুর স্বাভাবিক চলাচলে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শিশুকে বেশি শব্দমুক্ত পরিবেশে রাখুন।
৬. কানের যেকোনো সমস্যা অবহেলা করবেন না: কানের ভেতর পুঁজ বা আঠালো তরল তৈরি হলে, ব্যথা হলে বা শ্রবণশক্তি কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কানের ড্রপ বা গরম তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
শিশুর শ্রবণশক্তি রক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন থাকা এবং সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। নিয়ম মেনে সচেতন থাকলে শিশুদের শ্রবণশক্তি দীর্ঘস্থায়ী ও সুস্থ রাখা সম্ভব।
 
				
 
								 
								 
								 
								
















