ব্যুরো নিউজ ১৬ নভেম্বর :পবনপুত্র হনুমান ভক্তদের কাছে যিনি সংকটমোচন নামে পরিচিত। যেকোনো বিপদে ভক্তদের রক্ষা করেন। শনি ও মঙ্গলবার হনুমানের পুজো করলে বা হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে জীবনের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর হতে বাধ্য এমনটাই বিশ্বাস। পুরাণ মতে আট চিরঞ্জীবীর একজন হনুমান। তিনি এখনও নির্জন স্থানে বসে রামনাম জপ করেন। তার প্রতি নিষ্ঠা রাখলে যে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার প্রমাণ ইতিহাসেও মেলে।
চুল বিক্রি করে মেয়েদের লক্ষ্মীলাভের সহজ উপায়।
অর্থকষ্ট ও জীবনসংকটে হনুমানের মাহাত্ম্য
রাশি অনুযায়ী শনিবার দিনটি কেমন যাবে আপনার?
হনুমানের পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল প্রভু রামের নাম জপ। হনুমানের পুজোতে রামনামের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি হনুমান মন্দিরেই রামের মূর্তি বা ছবি দেখা যায়। অন্যদিকে রামমন্দিরেও হনুমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অযোধ্যার মন্দিরও এর ব্যতিক্রম নয়।
বুদ্ধমূর্তি বাড়ির কোন দিকে স্থাপন করছেন? সঠিক জায়গায় না রাখলে ঘটতে পারে অনর্থ
হনুমান পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শনিদেবের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া। পুরাণ অনুযায়ী, শনিদেব ছিলেন সূর্যপুত্র, আর হনুমান সূর্যের শিষ্য। একসময় সূর্যদেব নিজের প্রিয় শিষ্য হনুমানকে নির্দেশ দেন শনিদেবের অহংকার চূর্ণ করতে। হনুমান নিজের অসীম শক্তি দিয়ে শনিদেবকে বোঝান অহংকারের ক্ষতিকর দিক। শনিদেবও একসময় ভুল বুঝতে পেরে হনুমানকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, যারা নিষ্ঠাভরে তার পুজো করবে, তাদের শনির প্রভাব কখনো কষ্ট দেবে না।
হনুমানের পুজো কেবল শনির প্রভাব থেকে রক্ষা করে না, অর্থকষ্টও কাটাতে সাহায্য করে। ভক্তিভরে তার নাম করলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই শনির দৃষ্টি এড়াতে এবং জীবনের সংকট থেকে মুক্তি পেতে হনুমানের পুজো ও রামনাম জপ বিশেষভাবে ফলপ্রসূ।