ব্যুরো নিউজ, ২৮ অক্টোবর :ভি আই পি রোডের হলদিরাম এলাকায় এক পশলা বৃষ্টিতে আবারও জল জমে যাওয়ার সমস্যায় পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট ও সার্ভিস রোডে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ফলে চলাচলে সৃষ্টি হয় চরম অসুবিধা। নিকাশি ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে জমে থাকা জল নামতেও অনেক সময় লাগে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
দুর্দান্ত সাফল্যের পথে বহুরূপী! ১০ কোটি পেরিয়ে দীপাবলির আগে কি ছুঁবে ১২ কোটি?
জলের সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা
গত শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ র প্রভাবে বৃষ্টির ফলে আবারও একই দৃশ্য প্রত্যক্ষ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিধাননগর পুরসভা ও পূর্ত দফতরের মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। দুই দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুজোর আগে দুই দফতরের কর্মকর্তারা, পুলিশ ও সেচ দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে হলদিরাম এলাকার জল সমস্যার আলোচনা করেন।
জীবন হাতে করে জলের উপর দিয়ে যাতায়াত গ্রামবাসীদের
ভি আই পি রোডের নীচ দিয়ে বা চিনার পার্কের নীচ দিয়ে নিকাশি নালা নির্মাণের প্রস্তাবের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, জনসংখ্যার তুলনায় এই এলাকায় নিকাশি নালার জল বহনের ক্ষমতা যথেষ্ট কম। এছাড়া গড়িয়া- বিমানবন্দর মেট্রোর নির্মাণকাজের জন্য অনেক জায়গায় নিকাশি নালার মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
উত্তরপাড়ায় গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে মৃত্যুএক বৃদ্ধের
হলদিরাম ও চিনার পার্কের বাসিন্দাদের অভিযোগ জল জমার কারণে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। একটি বেসরকারি হাসপাতাল থাকার কারণে রোগীদের নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন এবং গাড়ি খারাপ হলে উদ্ধারকারীরা চড়া দর হাঁকছেন।
বিধাননগর পুরসভার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভি আই পি রোডের নিকাশি ব্যবস্থার পরিকল্পনা পূর্ত দফতরের। সম্প্রতি পুজোর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পৃথক একটি নালার নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মিনাখাঁর কাছে নতুন এবং শক্তিশালী পাম্প হাউস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যা হলদিরাম, চিনার পার্ক এবং বাগুইআটির জল বাগজোলা খাল থেকে কুলটি খালে ফেলতে সহায়তা করবে।



















