ghure ashi pahar

ব্যুরো নিউজ, ২৮ এপ্রিল: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ভাবছেন কি কদিন একটু কোথা থেকে ঘুরে আসতে পারলে ভালো হতো। আর যদি সেটা ঠান্ডার দেশ হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। কিন্তু কোথায় যাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না, তাহলে আপনার জন্য রইল ঘুরতে যাওয়ার সেরা ৫টি ডেস্টিনেশন-

মিরিক-

মিরিকের মূল আকর্ষণ হল সুমেন্দু হ্রদ। চারদিকে রয়েছে সাবিত্রী পুষ্প উদ্যান। যার নামকরণ হয়েছে আজাদ হিন্দ ফৌজের শহিদ সাবিত্রী থাপার নামে। হ্রদের দুই দিককে জুড়েছে ইন্দ্রেনি সেতু। আর একজন আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনা ইন্দ্রেনি থাপার স্মরণে এই সেতুর নামকরণ। ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা ঘিরে রেখেছে হ্রদটিকে। হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা।

শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিং –

দুই জায়গা থেকেই মিরিকের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটারের মতো। বাগডোগরা বিমানবন্দরও ৫২ কিলোমিটার দূরে। সবচেয়ে কাছের রেলস্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি। দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি থেকে মিরিক পর্যন্ত নিয়মিত বাস চলাচল করে। এছাড়া ক্যাব ভাড়া করেও যাওয়া যেতে পারেন।

আপনার হাতের তালুতে কি রয়েছে এই তিনটি চিহ্ন! তাহলে ঈশ্বর আপনার ভাগ্যে বিরাজ করছেন সবসময়

কালিম্পং-

এটি গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মধ্যে পড়ছে এই পুরসভা এলাকা। এখানকার মনোরম জলবায়ু এবং সুন্দর পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কালিম্পং মূলত বাগানের জন্য বিখ্যাত। অর্কিডের বৈচিত্র দেখলে আপনার চোখ জুড়িয়ে যেতে বাধ্য। এছাড়াও পেয়ে যাবেন হিমালয়ের স্ফীতকন্দ এবং রাইজোম ফুল। এখানকার আরেকটি আকর্ষণ হল তিব্বতি মঠ। ডেলো এবং দুরপিং – দুই পাহাড়কে জুড়েছে কালিম্পং শহর। এখান থেকেও কালিংপং এর শোভা আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন।

দার্জিলিং-

দার্জিলিংকে নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই। কারণ এই জায়গাটি ইতিমধ্যে পাহাড়ের রানী তকমা পেয়ে গিয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে অর্জন করেছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদাও পেয়েছে। বাংলা ছবির প্রিয় ডেস্টিনেশন ছিল এই দার্জিলিং। সত্যজিৎ রায়ের ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির শুটিং হয় দার্জিলিংয়ে।

হাতে তামা পড়লে প্রতিপত্তি উপচে পড়বে এই ৩ রাশির জাতক-জাতিকাদের, আপনিও কি আছেন?

কার্শিয়াং-

কার্শিয়াংয়ে সড়ক পথ এবং দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে – দু’ভাবেই যাওয়া যায়। নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। কাছের বিমানবন্দর বাগডোগরা। হিমালয়ের পাদদেশে কার্শিয়াংয়ের পরিবেশ অতি মনোরম। মকাইবাড়ি এবং ক্যাসেলটনের মতো চা বাগানগুলির পশ্চিমবঙ্গের চা পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপ কি চলে যাবে ভারত ছেড়ে?

পেডং-

কালিম্পং থেকে লাভার পথে যেতে ২০ কিলোমিটার আগেই পড়বে পেডং। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৪ হাজার ফুটের মতো। পাহাড়ের ওপরে এই শহর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ ভিউ পাবেন। পেডংয়ের কাছেই ডামসাং গাদির ধ্বংসাবশেষ দেখে নিতে পারবেন। এই শহরের মূল আকর্ষণ ক্রস হিল।

তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট প্ল্যান করে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন দার্জিলিং কিংবা কার্শিয়াং কিংবা পেডং-এ। এই সমস্ত জায়গায় প্রকৃতির অপরূপ শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর